English

16 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
- Advertisement -

সরবরাহ স্বাভাবিক রাখুন: সংকটে চালের মজুদ

- Advertisements -
আমনের ভরা মৌসুমেও চালের বাজার অস্থির। কেজিপ্রতি দাম ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকাল কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে কাঙ্ক্ষিত ফল মিলছে না। চলতি আমন মৌসুমে সরকার ১০ লাখ টন ধান ও চাল কেনার টার্গেট নিলেও এখন পর্যন্ত মিলারদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে মাত্র পাঁচ লাখ ৬০ হাজার টনের।
সংগ্রহ করা হয়েছে মাত্র তিন লাখ ২৩ হাজার টন, যা সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার এক-তৃতীয়াংশেরও কম। তার কারণ, সরকারের সংগ্রহমূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য অনেক বেশি। মিলাররা বলছে, সরকারকে চাল দিতে হলে কেজিতে সাত-আট টাকার মতো লোকসান দিতে হবে। এই অবস্থায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার চাল আমদানির দিকেই বেশি করে ঝুঁকছে।
এর মধ্যে সাড়ে চার লাখ টন চাল আমদানি করার চুক্তি হয়েছে। এ ছাড়া ভারত ও ভিয়েতনামের সঙ্গে জিটুজি পদ্ধতিতে চাল আনার আলোচনা চলছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১৬ জানুয়ারির তথ্য অনুযায়ী, সরকারি গুদামে ১২ লাখ ৫২ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে চাল আট লাখ ৫১ হাজার টন এবং গম তিন লাখ ৮৬ হাজার টন।
গত বছর এ সময়ে সরকারের গুদামে খাদ্যশস্যের মজুদ ছিল অন্তত ১৫ লাখ টন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত বছর বিদেশ থেকে কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। ২০২৩ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ছয় লাখ ৩৩ হাজার টন, ২০২২ সালে ছয় লাখ ৮৩ হাজার টন, ২০২১ সালে পাঁচ লাখ ৭২ হাজার টন চাল। এ অবস্থায় আপৎকালীন মজুদ বাড়াতে সরকার চলতি বছর অন্তত ১০ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা করছে। কিন্তু বাস্তবতা কিছুটা ভিন্ন।

জানা যায়, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় চালের আমদানি খরচ অনেক বেশি হয়ে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা বাজারের বিদ্যমান দামের চেয়েও বেশি হয়ে যায়। সে কারণে বেসরকারি আমদানিকারকরা অনুমতি পেলেও চাল আমদানিতে খুব একটা আগ্রহী হচ্ছেন না। এ অবস্থায় বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানো নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।

চালের বাজার অস্থির হলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেক বেড়ে যায়। বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জিটুজি পর্যায়ে বা সরকারিভাবে চাল আমদানি করে গুদামে নিলে হবে না, বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। সঠিক পন্থায় এগুলো বাজারে দিতে হবে। বাজারে সরকারের হস্তক্ষেপ বাড়াতে হবে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশেরও (টিসিবি) সক্ষমতা বাড়াতে হবে। কার্ডের মাধ্যমে চাল বিক্রি, ট্রাক সেল, ওপেন মার্কেট সেলসহ এ ধরনের আরো উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি সিন্ডিকেট, মজুদদারিসহ যেসব কারসাজির মাধ্যমে বাজার অস্থির করা হয় সেসব কারসাজির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন