ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্রের তথ্য নিয়ে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৫৮৩টি মামলা হয়েছে।
এসব মামলার তদন্ত চলছে। এজাহারভুক্ত অনেক আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ বলছে, বর্তমানে হেরোইন ও গাঁজার চালান রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে, বাংলা মদ পাবনা থেকে, ইয়াবা উখিয়া সীমান্ত এবং কক্সবাজার দিয়ে ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহনে জেনেভা ক্যাম্প ও অন্যান্য জায়গার খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছাচ্ছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকার বিহারি ক্যাম্পকেন্দ্রিক মাদক ব্যবসার রমরমা অবস্থা। দেশে চলমান বিশেষ অভিযানের মধ্যেই তারা বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে। ডিএনসির তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বা বিক্রেতার বেশির ভাগ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
দেশে মাদকাসক্তি যেমন বাড়ছে, তেমনি লাভজনক মাদক বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে নানা ধরনের সিন্ডিকেট বা অপরাধীচক্র। এসবের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, আমলা, এমনকি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীরও অনেকে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, অনেক এলাকায় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় মাদকের রীতিমতো হাট বসে।
মাদক নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামা জরুরি হয়ে উঠেছে। মাদকের অনুপ্রবেশ রোধ করা, মাদক পরিবহন, কেনাবেচা, সংরক্ষণ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, অর্থলগ্নীকরণ, পৃষ্ঠপোষকতাসহ সংশ্লিষ্ট সব অপরাধ দমনে আরো কঠোর হতে হবে। সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা, মাদক ব্যবসার মূল হোতাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। তাঁদের বিচারপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হবে।