English

30 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
- Advertisement -

সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা দরকার: প্রকাশ্যে চলছে মাদক ব্যবসা

- Advertisements -
দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। শহরাঞ্চলে তো বটেই, গ্রামে-গঞ্জে, এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মাদক এখন খুবই সহজলভ্য। তরুণ-যুবাদের পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীরাও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েও বিশেষ লাভ হচ্ছে না।
মাদক কারবারিরা নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে। নিত্যনতুন কায়দায় মাদকদ্রব্য দেশে প্রবেশ করছে। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, রাজধানীর প্রায় প্রতিটি এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি চলছে। ভ্রাম্যমাণ মাদক বিক্রেতারা সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরে ঘুরে মাদক বিক্রি করছে।
ক্রেতাদের তালিকায় কিশোর-তরুণই বেশি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য নিয়ে এক সপ্তাহ আগে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন ৮৩ জন ‘গডফাদার’। তাঁদের শীর্ষ পর্যায়ের সহযোগী রয়েছেন এক হাজার ১৮৫ জন। তালিকাভুক্ত এসব শীর্ষ ব্যবসায়ী মূলত সীমান্ত ও আকাশ পথে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য দেশে আনছেন।
তালিকাভুক্ত মাদকের গডফাদাররা পর্দার আড়ালে থেকে সব সময় এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। সহযোগীদের দিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে সেই মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। এতে আসক্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ধ্বংস হচ্ছে তরুণসমাজ। শিশু-কিশোররাও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।

ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্রের তথ্য নিয়ে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৫৮৩টি মামলা হয়েছে।

এসব মামলার তদন্ত চলছে। এজাহারভুক্ত অনেক আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ বলছে, বর্তমানে হেরোইন ও গাঁজার চালান রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে, বাংলা মদ পাবনা থেকে, ইয়াবা উখিয়া সীমান্ত এবং কক্সবাজার দিয়ে ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহনে জেনেভা ক্যাম্প ও অন্যান্য জায়গার খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছাচ্ছে।

প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকার বিহারি ক্যাম্পকেন্দ্রিক মাদক ব্যবসার রমরমা অবস্থা। দেশে চলমান বিশেষ অভিযানের মধ্যেই তারা বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে। ডিএনসির তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বা বিক্রেতার বেশির ভাগ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

দেশে মাদকাসক্তি যেমন বাড়ছে, তেমনি লাভজনক মাদক বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে নানা ধরনের সিন্ডিকেট বা অপরাধীচক্র। এসবের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, আমলা, এমনকি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীরও অনেকে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, অনেক এলাকায় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় মাদকের রীতিমতো হাট বসে।

মাদক নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামা জরুরি হয়ে উঠেছে। মাদকের অনুপ্রবেশ রোধ করা, মাদক পরিবহন, কেনাবেচা, সংরক্ষণ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, অর্থলগ্নীকরণ, পৃষ্ঠপোষকতাসহ সংশ্লিষ্ট সব অপরাধ দমনে আরো কঠোর হতে হবে। সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা, মাদক ব্যবসার মূল হোতাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। তাঁদের বিচারপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন