দখলদারির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে নদী দখলের পরিমাণ।
পদ্মা বাংলাদেশের একটি প্রধান নদী। এই নদীতে একসময় বড় বড় স্টিমার চলত। সংস্কারের অভাবে পলি জমতে জমতে নদীর বুকে অসংখ্য চর জেগেছে।
দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসনকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এখনো দখলদাররা বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে।
উচ্চ আদালত নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেছেন। নদী রক্ষায় বহুবিধ আইন রয়েছে। তার পরও নদী হত্যা বন্ধ হয়নি। দখল, দূষণ, ভরাট করা, স্থাপনা নির্মাণ—সবই চলছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী সারা দেশে দখলদারের সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৩৯০। একই বছর নতুন দখলদারের সংখ্যা পাওয়া যায় আরো প্রায় পাঁচ হাজার। ফলে ২০২০-এর আগেই মোট দখলদারের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৩ হাজারের বেশি। প্রশাসনের যথাযথ ভূমিকার অভাবে এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। প্রশাসনের এই আত্মঘাতী নির্লিপ্ততার অবসান হওয়া প্রয়োজন।
নদী না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না—এটা কোনো অতিশয়োক্তি নয়, এক নিরেট বাস্তবতা। আমরা চাই, রাজশাহীতে পদ্মা নদীর সব দখলদারকে অবিলম্বে উচ্ছেদ করা হোক। নদীর সীমানার মধ্যে যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হোক।