নিম্নমানের, এমনকি ভেজাল ওষুধ গছিয়ে দিতেও তাঁদের বাধে না। ফলে রোগমুক্তির বদলে অনেক ক্ষেত্রেই জটিলতা বাড়ছে।
প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, সংগৃহীত নমুনার ৮.৬১ শতাংশ নমুনার জীবাণু সব ধরনের ওষুধপ্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। দেশের আটটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও চারটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৩ হাজার ৩৫০টি প্রাথমিক কালচার সংগ্রহ করা হয়।
এ ছাড়া ২০ বছরের নিচে রোগীর মধ্যে ওষুধপ্রতিরোধী জীবাণু পাওয়া গেছে ২৯.২ শতাংশ। এসব রোগীর মধ্যে ৭১.৮ শতাংশের অ্যান্টিবায়োটিক বা জীবাণুপ্রতিরোধী ওষুধ গ্রহণ করার ইতিহাস রয়েছে।
ফার্মেসিগুলোতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা নেই। কিছু নির্দেশনা আছে।
ফার্মেসিগুলোতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা নেই। কিছু নির্দেশনা আছে।
তদারকি না থাকায় এই নির্দেশনা ক্রেতা বা বিক্রেতা কেউই মানে না। নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে না ওঠার সুযোগে ফার্মেসিভিত্তিক ভয়ংকর ডাক্তারির বেপরোয়া প্রবণতা লক্ষ করা যায়।
আবার আমাদের দেশে নিম্ন আয়ের মানুষ চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে ফার্মেসি থেকে এখন অ্যান্টিবায়োটিক কিনে সেবন করে। অনেকের মধ্যে ধারণাই নেই যে এতে তার শরীর অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে যাচ্ছে এবং পরে কোনো সংক্রমণ হলে কোনো ওষুধে হয়তো সারবে না।
দেশে অনুমতিপ্রাপ্ত ফার্মেসির তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ওষুধ বিক্রির প্রতিষ্ঠান থাকলেও সেগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চলে না।
নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি ও বাজারজাতকারীরাও শাস্তি পায় না। সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?
ওষুধের দোকানদার রোগী এলেই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দিচ্ছেন। এটি বন্ধ করতে হবে। কারণ এতে পুরো সমাজকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কোনোভাবেই অপ্রয়োজনে চিকিৎসকরা যেন অ্যান্টিবায়োটিক না দেন, এটি নিশ্চিত করতে হবে।
দিলেও সেটি সঠিক মাত্রার হতে হবে। একই সঙ্গে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া রোগীরা ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনবেন না- এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে।
সবার জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা দরকার। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সচেনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নিতে হবে।