English

31 C
Dhaka
শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪
- Advertisement -

সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করুন: বিশ্বব্যাংকের সহায়তার প্রতিশ্রুতি

- Advertisements -
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্য ঋণ সহায়তা বাড়াবে। চলতি অর্থবছরে সংস্থাটি বাংলাদেশের জন্য ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন অর্থায়ন করতে পারবে।এই অর্থ অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন, বন্যা মোকাবেলাদূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বায়ুর মান বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সহায়তা করা হবে। বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান এটিও জনিয়েছেন যে অতিরিক্ত ঋণ প্রদানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক এবারের অর্থবছরে বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ঋণ এবং মঞ্জুরি মিলিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার প্রদান করবে, যার মাধ্যমে বিদ্যমান প্রকল্পগুলোর তহবিল পুনর্বিন্যাসও করা হবে।
ওদিকে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক পরিচালক ম্যাথিউ  ভারগিসের নেতৃত্বে একটি মিশন ঢাকা সফর করছে। বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চলমান ঋণের পাশাপাশি বাড়তি কিছু অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। বিশ্বব্যাংক নতুন ঋণ দিতে চায়। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছে।
এর মধ্যে পলিসি বেইসড লোন হিসেবে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার এবং ইনভেস্টমেন্ট লোন ও গ্যারান্টি ফ্যাসিলিটি হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে এই ঋণের অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চলমান ঋণের পাশাপাশি বাড়তি কিছু অর্থায়ন চাওয়া হয়েছে। ঋণ পেতে হলে শর্ত প্রযোজ্য।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সহায়তার জন্য যেসব শর্ত দেওয়া হবে, সেগুলো যেন বাস্তবায়নযোগ্য হয়এমন অনুরোধ করা হয়েছে সংস্থাটিকে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, দেশের বিদ্যমান অবস্থায় বিশ্বব্যাংক এমন কোনো শর্ত দেবে না, যা বাস্তবায়ন অযোগ্য।

পৃথিবীতে যত দেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, যারা অর্থনীতি ও সামাজিক সূচকে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করতে পেরেছে। দ্বিতীয়ত, বিশ্বব্যাংকের ঋণ ব্যবহার করে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সফলতা দেখানো এবং সেই ঋণ নিয়মিত পরিশোধে বাংলাদেশ এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বিশ্বব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ সেই পরিমাণ ঋণ নেওয়া প্রয়োজন, যা নিলে বাংলাদেশ কোনো অবস্থায়ই বিশ্বব্যাংকের ঋণের খপ্পরে পড়বে না এবং স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথে কোনো অন্তরায় হবে না।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন