দেশের উন্নয়নের অন্যতম শর্ত বিদ্যুতের সহজপ্রাপ্যতা। বিদ্যুত্প্রাপ্তি নিশ্চিত করা গেলে উন্নয়নের ধারায় আরো বহু মানুষকে সম্পৃক্ত করা যাবে—এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। কলকারখানার পাশাপাশি সব ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রমে বিদ্যুৎ অপরিহার্য। বিদ্যুতের অভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি স্তিমিত হয়। বিদ্যুৎ এখন মৌলিক চাহিদার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
দেশে এখন পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়া মানে ওই এলাকার জীবনযাত্রা পাল্টে যাওয়া। অতীতের সব সরকারের মতো বর্তমান সরকারেরও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বিদ্যুৎ। মানুষকে বিদ্যুতের সুবিধা দেওয়ার জন্য যেসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তা যথাসময়ে বাস্তবায়িত হলে দেশে ঘাটতি থাকবে না। প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, দেশে বড় বড় বিদ্যুেকন্দ্র উৎপাদনে আসছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী তৈরি হচ্ছে না সঞ্চালন লাইন।
সঞ্চালন লাইন চালু না হলে উৎপাদনে যেতে পারবে না বড় বিদ্যুেকন্দ্রগুলো। দেশে পায়রা, মাতারবাড়ী, রূপপুর ও রামপালের মতো বড় ও জ্বালানি সাশ্রয়ী স্থায়ী বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। প্রতিটি কেন্দ্র এক হাজার থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। এরই মধ্যে পায়রা বিদ্যুেকন্দ্রে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রটি উৎপাদনে এলেও পূর্ণাঙ্গ সঞ্চালন লাইন না হওয়ায় সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদন শুরু করা যায়নি। পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতায় না চলায় প্রতি মাসে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ গুনতে হচ্ছে সরকারকে। পাওয়ার গ্রিড কম্পানি বলছে, পদ্মা সেতু ক্রসিংয়ের জন্য লাইন নির্মাণে দেরি হচ্ছে।
পায়রার মতোই অবস্থা রূপপুর সঞ্চালন লাইনের। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ না হলে রূপপুর বিদ্যুেকন্দ্র চালু করা সম্ভব হবে না। দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের রূপপুর বিদ্যুেকন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদনে আসার কথা আগামী বছরের অক্টোবরে। কিন্তু পিজিসিবির পরিকল্পনা বলছে, রূপপুরের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। কাজেই এখানেও অলস বসে থাকতে হবে। লোকসান গুনতে হবে সরকারকে। তাই সঞ্চালন লাইনগুলোর কাজ শেষ করতে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন