English

27 C
Dhaka
শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৪
- Advertisement -

সঞ্চালনব্যবস্থা উন্নত করুন: নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। আরো কিছু বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আগামী বছরের শেষ দিকে অথবা ২০২৪ সালে পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন শুরু হবে। কিন্তু বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের কাজ সমানতালে এগোতে না পাড়ায় এই উৎপাদন বৃদ্ধির সুবিধা মানুষ অনেকাংশেই ভোগ করতে পারছে না।

বহু পুরনো সঞ্চালন লাইনের কারণে সিস্টেম লস কমছে না, লোড শেডিং বন্ধ করা যাচ্ছে না এবং গ্রিড বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। অথচ এসংক্রান্ত ‘ওয়েস্ট জোন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও পরিবর্ধন’ শীর্ষক প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাজ শুধু পেছাচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত, পরে তা বাড়িয়ে করা হয় ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়াতে চায় বাস্তবায়নকারী সংস্থা বিদ্যুৎ বিভাগ।

দেশের প্রায় শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। মানুষের জীবনযাত্রারও আধুনিকায়ন হচ্ছে। মানুষ ক্রমেই বেশি করে বিদ্যুিনর্ভর হয়ে পড়ছে। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। সরকারও সেভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতাও অনেক বেড়েছে। কিন্তু এই বিদ্যুৎ গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে রয়ে গেছে নানা সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা। ফলে মানুষ বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে সরকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যে প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়েছে সেগুলোর বাস্তবায়ন দ্রুততর করতে হবে।

‘ওয়েস্ট জোন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও পরিবর্ধন’ শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল ২০১৭ সালের ১ জুলাই। এরপর দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ শেষ করা যায়নি। পাঁচ বছর পার করার পর আবার মেয়াদ প্রায় দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তার পরও যে সেই সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে তার নিশ্চয়তা কোথায়? নাগরিক জীবনে এখনো বিদ্যুৎ নিয়ে ভোগান্তি ব্যাপক। তাই জনদুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে গৃহীত এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের এমন ধীরগতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিন বছরের প্রকল্পের কাজ পাঁচ বছরেও কেন শেষ হয়নি, আবারও দুই বছর বাড়ানোর যৌক্তিকতা কতটুকু—প্রতিটি বিষয় ভালোভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। প্রকল্প বাস্তবায়নে কারো অবহেলা থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি প্রকল্পের বাকি কাজ যেন সম্ভাব্য সবচেয়ে কম সময়ে সম্পন্ন হয় সেদিকে জোর দিতে হবে।

বিদ্যুৎ খাতে, বিশেষ করে উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি খুবই ভালো। আমাদের মনে রাখতে হবে, যত দিন যাবে বিদ্যুতের চাহিদা ও ব্যবহার ততই বাড়বে। ভবিষ্যৎ চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন