বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, নৈরাজ্য বারবার থামিয়ে দিচ্ছে অর্থনীতির গতি। যেমনটি ঘটল গত কযেক দিনে।সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সহিংসতার কারণে সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে সারা দেশের মতো চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউসেও অচলাবস্থা তৈরি হয়।
গত বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটসেবা চালু হওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের গতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। পণ্য খালাসের জন্য তিন শিফটে স্ক্যানিং কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়। পণ্য পরিবহনে শ্রমিকদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, গত ১১ জুলাই থেকে গত বুধবার পর্যন্ত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আটটি বাল্ক জাহাজ ও পাঁচটি কনটেইনারবাহী জাহাজ রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে।
আর ২১ ও ২২ জুলাই তিন হাজার ৪৬৯টি কনটেইনারের মাধ্যমে ৭১ হাজার ২০২ টন এবং বাল্ক জাহাজের মাধ্যমে এক লাখ আট হাজার ৫৮১ টন বিভিন্ন ধরনের বাল্ক আমদানি পণ্য খালাস হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান বলেছেন, চলমান পরিস্থিতিতেও বন্দরের সব জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামার কার্যক্রম প্রায় স্বাভাবিক ছিল। শনিবার থেকে সোমবার ডেলিভারি কম হওয়ায় কনটেইনারজট তৈরি হয়। মহাসড়কে যানবাহন চলতে শুরু করায় বুধবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
নির্বাহী আদেশে দেওয়া তিন দিনের সাধারণ ছুটির কারণে গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ ছিল দেশের পুঁজিবাজারও। পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত বুধবার দেশের পুঁজিবাজার আবার খুলেছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এদিন কিছুটা কম সময় লেনদেন হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে দেশের শীর্ষ রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পের চট্টগ্রামের কিছু কারখানা চালু থাকলেও বেশির ভাগ ছিল বন্ধ। এ অবস্থায় প্রতিদিন প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে মনে করেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট সবাই দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখবে। অর্থনীতিই দেশের প্রাণ। এ খাতটিকে যেকোনো মূল্যে নিরাপদ রাখতে হবে।