কোনোভাবেই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। কত পরিবার যে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে নিঃস্ব হয়ে গেছে তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। আবার দেশের সড়ক-মহাসড়কে এমন অনেক দুর্ঘটনা ঘটে, যেগুলোকে দুর্ঘটনা না বলে হত্যাকাণ্ডও বলা যায়।
সাধারণত চালকের আসনে কিশোর, তরুণদের একটু বেপরোয়া ভাব পরিলক্ষিত হয়। এই তরুণদের বেশির ভাগেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। অথচ অভিভাবকরা তাদের হাতে মোটরসাইকেল তুলে দিয়েছেন।
আমাদের দেশে চালকদের বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা। তাঁদের অনেকেই আধুনিক সড়ক নির্দেশনা বুঝতে অক্ষম। ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। গাড়িচালকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অন্তত এসএসসি নির্ধারণ করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
পাঠ্যপুস্তকে ট্রাফিক আইন ও নিয়ম অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে। আদালতের সেই নির্দেশনা কি মানা হচ্ছে? মালিকরা চালকের দক্ষতা, কল্যাণ ও শৃঙ্খলার প্রতি উদাসীন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঈদুল আজহাকে ঘিরেও সড়কে বিশৃঙ্খলা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে পশুবাহী যান চলাচল করবে।
এসব যানবাহনের ফিটনেসে ঘাটতি থাকে। এটা শৃঙ্খলা বা নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়বে। ফলে মোটরসাইকেলের জন্য আরো ঝুঁকি বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে। শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে সড়কে।