প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মূল প্রবন্ধে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, বর্তমান চ্যালেঞ্জিং সময়ে গ্যাসের দাম দ্বিগুণ বাড়ানো হলে উৎপাদনমুখী খাতে পণ্য উৎপাদনে ব্যয় বাড়বে। এতে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমবে। নতুন বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একই সঙ্গে সিমেন্ট, ইস্পাত ও সিরামিক খাতে নতুন করে আমদানিনির্ভরতা বাড়বে।আর্থিক খাতের ওপর চাপ পড়বে। অনেক শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে। ব্যাংকে মন্দ ঋণ বাড়তে থাকবে। বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শিল্পে নিরাপত্তা দিতে পারছে না। ব্যাংকে সুদের হার বেশি। গ্যাসের দামও বাড়তি।
এর পরও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস দিতে পারছে না সরকার। এ অবস্থায় ‘সরকার নতুন শিল্পের জন্য ১৫০ শতাংশ এবং সম্প্রসারণ শিল্পের জন্য ৫০ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। আমরা আর কেউ শিল্প করতে চাই না। তবে বর্তমান শিল্পকে সহায়তা করবেন না, এটা হতে পারে না। দেশের অর্থনীতি ধরে রাখতে হলে গ্যাসের দাম বর্তমানের চেয়ে কমানো দরকার।’
প্রতিনিয়ত বাড়ছে জনসংখ্যা, বাড়ছে কর্মসংস্থানের চাহিদা। কিন্তু সেই অনুযায়ী বাড়ছে না শিল্প-কারখানা, বাড়ছে না কর্মসংস্থানের সুযোগ। বরং উল্টোটাই দেখা যাচ্ছে। বিদ্যমান শিল্পগুলোও ধুঁকতে ধুঁকতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাহলে দ্রুত বর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার কর্মসংস্থান হবে কিভাবে?
ব্যবসায়ীদের মতে, বর্তমানে শিল্পঘন এলাকাগুলোতে, বিশেষ করে গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারে অবস্থিত কারখানাগুলোতে গ্যাসসংকটের কারণে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ হারে উৎপাদন কমে গেছে।
ফলে কারখানাগুলোর প্রডাকশন শিডিউল ও সরবরাহ চেইন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গ্যাসের দাম এভাবে বাড়ানো হলে তা দেশের শিল্প খাতকে আরো বিপর্যস্ত করবে।
আমরা মনে করি, দেশের শিল্প খাতের উন্নয়নে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে। এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না, যা শিল্প খাতে বিপর্যয় ডেকে আনে।