যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির সর্বশেষ তথ্যে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে প্রধান সরবরাহকারী দেশগুলোর পণ্য রপ্তানির মূল্য ও পরিমাণের এই চিত্র উঠে আসে। অন্যান্য প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশের তুলনায় তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল মাঝামাঝি। ভিয়েতনামের মূল্য ৫.৬৭ শতাংশ এবং পরিমাণে ৯.৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের মূল্য ৪.৯৫ শতাংশ এবং পরিমাণ ১৩.০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কম্বোডিয়ার ক্ষেত্রে মূল্য ১৪.৪৮ শতাংশ এবং পরিমাণ ১৮.৪৫ শতাংশ বেড়েছে, যা বাজারে প্রতিযোগিতামূলক প্রবণতা তুলে ধরে। অন্যদিকে মেক্সিকো ও কোরিয়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তাদের পণ্যের মূল্য ও পরিমাণ দুটোই কমেছে।
তৈরি পোশাকশিল্প এখনো বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত।
প্রতিবছর বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ আসে এই খাতটি থেকেই। তাই এই খাতটিকে আরো এগিয়ে নেওয়ার দিকে আমাদের আরো বেশি তৎপর হতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে এই শিল্পে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটছে। প্রায়শ বিক্ষোভ, হামলা-ভাঙচুরের হচ্ছে। শিল্পের উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, গ্যাস ও জ্বালানির অভাবে উত্পাদন ব্যাহত হচ্ছে।
ঋণের ওপর অত্যধিক সুদের কারণে চলতি মূলধনে ঘাটতি হচ্ছে। এই সমস্যাগুলো দূর করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান বাজারগুলোতে অবস্থান সুসংহত করার পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে। পণ্য বহুমুখীকরণে আরো বেশি মনোযোগ দিতে হবে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে এখন বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো অনেক বেশি সক্রিয়। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, অনেক দেশই বাংলাদেশের বাজার দখলে উঠেপড়ে লেগেছে।
আমরা আশা করি, সরকার তৈরি পোশাকশিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে সম্ভাব্য সব উদ্যোগ গ্রহণ করবে। একই সঙ্গে গার্মেন্টকর্মীদের অবস্থার উন্নয়নেও পদক্ষেপ নিতে হবে।