English

17 C
Dhaka
সোমবার, জানুয়ারি ২৭, ২০২৫
- Advertisement -

শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করুন: বাজার অস্থির

- Advertisements -
বাজারে চালের কোনো সংকট নেই। পাইকারি বা খুচরা—কোনো দোকানেই চালের কোনো ঘাটতি নেই। আমন ধান মাত্র উঠেছে। এ সময়ে মিলেও ধান বা চালের কোনো কমতি নেই।
আমদানি করা চালও যথেষ্ট পরিমাণে বাজারে আসছে। তার পরও বাজারে ক্রমাগতভাবে বাড়ছে চালের দাম। বিশেষ করে বাড়ছে চিকন ও মাঝারি মানের চালের দাম। গত কয়েক দিনেও কেজিপ্রতি বেড়েছে চার-পাঁচ টাকা পর্যন্ত।

 প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাজারে মিনিকেট মানভেদে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রধান খাদ্যশস্য হিসেবে চালের দাম বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেক বেড়ে যায়। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন কাটাতে হয়। তাই যেকোনো মূল্যে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখা অত্যন্ত জরুরি।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১৬ জানুয়ারির তথ্য অনুযায়ী, সরকারি গুদামে ১২ লাখ ৫২ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। চাল আট লাখ ৫১ হাজার টন এবং গম তিন লাখ ৮৬ হাজার টন। এর মধ্যে ভারত থেকেই এসেছে লক্ষাধিক টন চাল। চাল আসছে পাকিস্তান, মায়ানমার থেকেও। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ আরো কিছু দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সময়ে বাজারে চালের ঘাটতি হওয়ার কোনো কারণই নেই।
তাঁদের ধারণা, এর মধ্যে কিছু বড় ব্যবসায়ী ও মজুদদার সিন্ডিকেটের কারসাজি কাজ করছে। এ জন্য বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে। গোয়েন্দা নেটওয়ার্ককে কাজে লাগাতে হবে। বাজারে সরকারের হস্তক্ষেপ বাড়াতে হবে। টিসিবি, ওএমএস, পরিবার কার্ড ও অন্যান্য মাধ্যমে সরকারিভাবে কম দামে চাল বিক্রি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি চালের আমদানি বাড়াতে হবে।
বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জিটুজি পর্যায়ে বা সরকারিভাবে চাল আমদানি করে কেবল গুদাম ভর্তি করলেই হবে না, চালের কৃত্রিম সংকটকে মোকাবেলা করতে সে চাল বাজারে বা মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।
পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে আর মাত্র মাসখানেক বাকি। এরই মধ্যে রোজায় বেশি চাহিদা থাকে এমন সব খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি আট টাকা বাড়ানোর পরও বাজারে তেলের সংকট চলছে। সুযোগমতো বিক্রেতারা আরো বেশি দাম নিচ্ছেন।
রমজানে ডাল ও ছোলার চাহিদা বেড়ে যায়। এই দুটি পণ্যের দামও এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। কমছে না মুরগির দাম। মাছ-মাংসের দাম আগে থেকেই বাড়তি। আমরা মনে করি, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরো তৎপর হতে হবে। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ কঠোরতা দেখাতে হবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন