প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাজারে মিনিকেট মানভেদে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রধান খাদ্যশস্য হিসেবে চালের দাম বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেক বেড়ে যায়। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন কাটাতে হয়। তাই যেকোনো মূল্যে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখা অত্যন্ত জরুরি।
বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সময়ে বাজারে চালের ঘাটতি হওয়ার কোনো কারণই নেই।
তাঁদের ধারণা, এর মধ্যে কিছু বড় ব্যবসায়ী ও মজুদদার সিন্ডিকেটের কারসাজি কাজ করছে। এ জন্য বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে। গোয়েন্দা নেটওয়ার্ককে কাজে লাগাতে হবে। বাজারে সরকারের হস্তক্ষেপ বাড়াতে হবে। টিসিবি, ওএমএস, পরিবার কার্ড ও অন্যান্য মাধ্যমে সরকারিভাবে কম দামে চাল বিক্রি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি চালের আমদানি বাড়াতে হবে।
বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জিটুজি পর্যায়ে বা সরকারিভাবে চাল আমদানি করে কেবল গুদাম ভর্তি করলেই হবে না, চালের কৃত্রিম সংকটকে মোকাবেলা করতে সে চাল বাজারে বা মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।
পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে আর মাত্র মাসখানেক বাকি। এরই মধ্যে রোজায় বেশি চাহিদা থাকে এমন সব খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি আট টাকা বাড়ানোর পরও বাজারে তেলের সংকট চলছে। সুযোগমতো বিক্রেতারা আরো বেশি দাম নিচ্ছেন।
রমজানে ডাল ও ছোলার চাহিদা বেড়ে যায়। এই দুটি পণ্যের দামও এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। কমছে না মুরগির দাম। মাছ-মাংসের দাম আগে থেকেই বাড়তি। আমরা মনে করি, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরো তৎপর হতে হবে। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ কঠোরতা দেখাতে হবে।