এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।
ঘোষণা অনুযায়ী যেকোনো নতুন গ্যাস সেলস অ্যাগ্রিমেন্ট নতুন সংযোগ হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস ব্যবহার করে আসা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও চলতি চুক্তি শেষ হলে কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে অতিরিক্ত গ্যাস ট্যারিফের স্ল্যাবে ফেলতে পারবে।
এ ধরনের বিধান ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ভবিষ্যতে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি করবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ব্যবসায়ীদের এই উদ্বেগ যৌক্তিক এবং জরুরি। একটি দীর্ঘ স্বৈরশাসনের পর দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা আবশ্যক।
এই অবস্থায় যদি গ্যাসের অবাস্তব মূল্য বৃদ্ধি করা হয়, তবে তা অর্থনীতি ও দেশের ভবিষ্যতের জন্য বড় রকমের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। মনে রাখতে হবে, ঘন ঘন গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে সেই চাপ ঘুরেফিরে জনগণের কাঁধেই পড়বে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে, আরেক দফা পণ্যমূল্য বাড়বে।