English

16 C
Dhaka
শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
- Advertisement -

রেলওয়ের গতি ফিরুক: পদ্মা সেতু হয়ে দুই গন্তব্যে ট্রেন চলাচল শুরু

- Advertisements -
সড়কপথের তুলনায় রেলপথে পণ্য  যাত্রী পরিবহন অনেক বেশি সাশ্রয়ী। তুলনামূলকভাবে পরিবেশদূষণের পরিমাণও অনেক কম।  কারণে আধুনিক বিশ্বে রেলওয়ে হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় গণপরিবহন। অথচ বাংলাদেশে একসময় ঘটেছে তার উল্টোটা।
সত্তরের দশকের শেষ দিক থেকে শুরু হয় বাংলাদেশ রেলওয়ের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এরই ধারাবাহিকতায় একের পর এক বন্ধ হয়ে যায় রেলপথ। অনেক জায়গায় রেললাইন তুলে ফেলা হয়। শুধু রেলপথ বন্ধ করা নয়লোকসানি দেখিয়ে লোকবল কমিয়ে ফেলা হয়েছে।
অনেক স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারখানাগুলোকে প্রায় গলা টিপে হত্যা করা হয়। পাকিস্তান আমলেও যে সৈয়দপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপে দুই শতাধিক ওয়াগন তৈরি হতো, ১৯৯৩ সালে সেই ওয়াগন তৈরির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি স্লিপার উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইঞ্জিনকোচের অভাবে ট্রেনের সব শিডিউল ভেঙে পড়ে। ব্রিটিশ আমলে  দেশে যতটুকু রেললাইন ছিল, পাকিস্তান আমলে তা বাড়েনি বললেই চলে। সত্তরের দশকের শেষ দিকে এসে সেই রেলপথটুকুও কমতে শুরু করে।
অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় ট্রেনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বাংলাদেশে রেলওয়েকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরনো রেলপথ চালু করার পাশাপাশি নতুন নতুন রেলপথ তৈরি করা হচ্ছে। রেল পরিবহনে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকাবেনাপোল যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। নতুন পথে ঢাকা থেকে কাশিয়ানী জংশন হয়ে খুলনা ও বেনাপোলে নতুন দুই জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করা হয়েছে।
খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ এবং বেনাপোল-ঢাকাবেনাপোল রুটে ‘রূপসী বাংলা’ এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির চলাচল করবে। গত মঙ্গলবার রুট দুটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আগে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল-ঈশ্বরদী হয়ে খুলনা যেতে সময় লাগত সাড়ে ৯ ঘণ্টা এবং রাজবাড়ী হয়ে বেনাপোল যেতে সাত ঘণ্টা ৩৫ মিনিট সময় লাগত।

চালু হওয়া নতুন পথে মাত্র পৌনে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনা এবং সাড়ে তিন ঘণ্টায় বেনাপোল পৌঁছা যাবে। দূরত্ব কমে আসায় যাত্রীদের ভাড়াও কমে আসবে। আগে ঢাকা-খুলনা-ঢাকা রুটে একজন যাত্রীকে একক যাত্রায় ভাড়া দিতে হতো শোভন চেয়ারে ৬৩০ টাকা এবং স্নিগ্ধা শ্রেণিতে এক হাজার ২০৮ টাকা। বর্তমানে একই গন্তব্যে যেতে একজন যাত্রীকে ভাড়া দিতে হবে শোভন চেয়ারে ৪৪৫ টাকা এবং স্নিগ্ধা শ্রেণিতে ৮৫১ টাকা অর্থাৎ শ্রেণিভেদে একই গন্তব্যে ভাড়া কমছে যথাক্রমে ১৮৫ ও ৩৫৭ টাকা।

পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন হিসেবে রেলপথ ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে হবে। সারা দেশ রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হোক। গতি ফিরুক রেলওয়ের।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন