English

29 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

রাষ্ট্র হোক কল্যাণমুখী: সংস্কারে ৬ কমিশন

- Advertisements -
বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস। গত ৮ আগস্ট তাঁর নেতৃত্বে শপথ নিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে গত বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।এই ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন, নির্বাচনের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠতার একাধিপত্য ও দুঃশাসন মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বা এর মাধ্যমে এক ব্যক্তি বা পরিবার বা কোনো গোষ্ঠীর কাছে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এসব আশঙ্কা রোধ করার জন্য নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত নির্বাচন কমিশনসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের কথা ভাবছে তাঁর অন্তর্বর্তী সরকার। এসব প্রতিষ্ঠানের সংস্কার জনমালিকানাভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায়ও অবদান রাখবে বলেও তাঁর বিশ্বাস।
সম্প্রতি শীর্ষস্থানীয় ২০ পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনের জন্য জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে সম্পাদকদের পক্ষ থেকে আসা পরামর্শের মধ্যে ছিল সংবিধান সংশোধন, সংবিধান পুনর্লিখন, আইন কমিশন, সংবিধান কমিশন, মিডিয়া কমিশন ও পুলিশ কমিশন গঠন।
নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কথাও উল্লেখ করেন সম্পাদকরা। গত মাসে এক সংলাপ অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের নেতারাও সংস্কারের পক্ষে মত দেন। তাঁরা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার প্রয়োজন।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্র সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ তুলে ধরেছেন।

এ জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত চারটি প্রতিষ্ঠান সংস্কার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রশাসন, বিচার প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন।
পাশাপাশি সব স্তরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব ও স্বার্থ নিশ্চিত এবং গণ-অভ্যুত্থানের বার্তাকে প্রতিফলিত করতে সাংবিধানিক সংস্কারের প্রয়োজন অনুভব করছেন তিনি। এসব কমিশনের কাজ পরিচালনার জন্য ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এরপর আরো বিষয়ে কমিশন গঠন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন সরফরাজ চৌধুরী, বিচার বিভাগ সংস্কারে সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কারে প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কারে প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, সংবিধান সংস্কারে কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিক দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি জানান, এসব কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। কমিশনগুলোর আলোচনা ও পরামর্শসভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ছাত্র, শ্রমিক-জনতার আন্দোলনের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা করছেন প্রধান উপদেষ্টা। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে সংস্কার শুরু করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।

আমরা মনে করি, যাঁদের ওপর কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে যোগ্য ও অভিজ্ঞ। তাঁরা নিজেদের কমিশনে যোগ্যদেরই সদস্য হিসেবে বেছে নেবেন। তাঁদের সবার আন্তরিক চেষ্টায় বাংলাদেশ একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

আজকের রাশিফল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন