English

17 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

রাজশাহীর পর চট্টগ্রাম: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ-বাণিজ্য চলছেই

- Advertisements -

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য আবদুস সোবহান বিদায়ের দিন নিজের কৃতিত্ব জাহির করতে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠিত তদন্ত কমিটি সেই নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করার পরও পদায়নের জন্য সংশ্লিষ্টরা চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। এঁদের বেশির ভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। রাজনৈতিক খুঁটি ব্যবহার করেই তাঁরা উপাচার্যের কাছ থেকে নিয়োগপত্র আদায় করে নিয়েছিলেন। এই নিয়োগের পেছনে লাখ লাখ টাকা উৎকোচ লেনদেনের অভিযোগ আছে। এর আগে উপাচার্য নিজের কন্যা ও জামাতাকে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগবিধি শিথিল করেছিলেন।

গণমাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছবি ছাপা হয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত যাকে অবৈধ নিয়োগ বলে অভিহিত করেছে, সেই নিয়োগপ্রাপ্তরা পদায়নের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষ দখল করে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করেছিলেন। ফলে চলতি দায়িত্বে থাকা উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য পদাধিকারীরা কার্যত অবরুদ্ধ ছিলেন।

যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের নিয়োগ-বাণিজ্য নিয়ে সারা দেশে তোলপাড়, তখনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে আরেক মন্দ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনিও নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘নিজের বাড়ির’ এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের পছন্দের লোকদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা উপেক্ষা করা হয়েছে। ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ইউজিসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তাদের অনুমতি ব্যতীত বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১২ জন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সম্ভাব্য নিয়োগ পাওয়ার তালিকায় ছাত্রলীগের সাবেক তিন নেতা আছেন। ছাত্রলীগ করলে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতে পারবেন না, এমন কথা নেই। কিন্তু ছাত্রলীগ হলেই কেন সুবিধা বা বিবেচনায় নিয়োগ পেতে হয়? তাহলে কি তাঁরা ধরেই নিয়েছেন, মুক্ত প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবেন না? কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেছেন, কারও না কারও সুপারিশের মাধ্যমে এই নিয়োগ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি বলেছেন, এসব নিয়োগ আইন মেনে হয়নি। আইন না মেনে নিয়োগ কোনোভাবেই বৈধতা পেতে পারে না।

বর্তমান সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ আছে করোনা মহামারির কারণে। কিন্তু উপাচার্যদের নিয়োগ-বাণিজ্য চলছেই। শিক্ষার প্রতি তাঁদের কোনো দরদ না থাকলেও নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অতি উৎসাহ আছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুস সোবহানসহ পাঁচ পদাধিকারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নিয়ে তাঁদের ব্যাংকের হিসাব তলব করেছে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন