English

26 C
Dhaka
সোমবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

রাজনীতির নামে নিষ্ঠুরতা নয়: বেনাপোল এক্সপ্রেসে নাশকতা

- Advertisements -
রাজনীতির উদ্দেশ্য জনকল্যাণ। পৃথিবীর অনেক দেশেই মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করার বহু বিরল দৃষ্টান্ত রয়েছে। বাংলাদেশেও অতীতে রাজনীতির চরিত্র তেমনই ছিল। আমাদেরও অনেক নেতা ছিলেন, যাঁরা মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।
রাজনীতির সেই চরিত্র আজ অনেকটাই বদলে গেছে। রাজনীতির সঙ্গে স্বার্থ জড়িয়ে গেছে। এখন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উদগ্র প্রতিযোগিতা হয়। অর্থ ও পেশিশক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার হয়।
এমনকি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারার মতো নিষ্ঠুরতাও হয়। তেমনই একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো শনিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে। হরতালের আগের রাতে যশোর থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশ করার কিছু আগে আগুন দেওয়া হয়।
আগুনে চারটি বগি পুড়ে যায়। শিশু ও নারীসহ চারজন পুরে অঙ্গার হয়ে যায়। অনেকে আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
শুধু বেনাপোল এক্সপ্রেস নয়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ট্রেনে নাশকতার অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে।
কোথাও আগুন দেওয়া হয়েছে। কোথাও রেললাইন কেটে রাখায় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোথাও রেলপথের ক্লিপ, নাট-বল্টু খুলে রাখায় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে আসার কিছু আগে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দেওয়া হয়। এতে শিশুসন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় এক মা পুড়ে মারা যান।
তাঁদেরসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয় সেই ঘটনায়। এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরে রেললাইন কেটে রাখায় দুর্ঘটনার শিকার হয় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনের মোট সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনায় সাবেক বিএনপি নেতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। ট্রেনে এ রকম নাশকতার আরো বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে।
কোথাও কোথাও জনসাধারণের সচেতন প্রচেষ্টায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে অনেক ট্রেনের যাত্রা। শুধু ট্রেন নয়, বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধকে কেন্দ্র করে বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ আরো অনেক যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। পুড়ে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এ ধরনের নৃশংসতা সবচেয়ে বেশি ঘটেছিল ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের সময়। তখন বাস, লঞ্চ, ট্রেনে আগুন দিয়ে, গুলি করে, পিটিয়ে এবং অন্যান্যভাবে সাড়ে ছয় শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়। এবারের নির্বাচনেও সেই একই ধারা লক্ষ করা যাচ্ছে।
আমরা রাজনীতির নামে এমন নৃশংসতা দেখতে চাই না। যেকোনো মূল্যে এ ধরনের নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে হবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন