English

15 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

যানজটে আর্থিক ক্ষতি: নাগরিক দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে হবে

- Advertisements -

যানজটে নষ্ট হওয়া অতিরিক্ত সময়, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত জ্বালানির ব্যবহার, পরিবেশদূষণ ও দূষণের ফলে স্বাস্থ্যগত সমস্যা, যানজটে আটকা পড়ে সিগন্যাল থেকে বের হওয়ার পর দ্রুত গাড়ি চালানোয় জানমালের ক্ষতি এবং যানজটে সড়কে গাড়ির অতিরিক্ত চাপের ফলে রাস্তার স্থায়িত্ব কমে যাওয়া—এই পাঁচটি খাতকে প্রাধান্য দিয়ে পরিচালিত একটি গবেষণা বলছে, গত জুনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজটের কারণে প্রতিদিন নষ্ট হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ কর্মঘণ্টা। টাকার অঙ্কে প্রতিদিন ক্ষতির পরিমাণ ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
যানজটের ভোগান্তিকে ঢাকাবাসী ‘নিয়তি’ হিসেবে মেনে নিয়েছে। ১০ মিনিটের পথ এক ঘণ্টায় পাড়ি দিলেও তাদের খুব বেশি অনুযোগ থাকে না। কখনো কখনো ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে এখন এক ঘণ্টা নয়, দুই-তিন ঘণ্টাও লেগে যায়। কেন? ঢাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণের বছরব্যাপী বিড়ম্বনা তো আছেই, ফ্লাইওভারের নির্মাণসামগ্রী কিংবা ভারী যন্ত্রপাতি রাখার ফলে সামান্য চলাচলের পথটাও বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে। শুরু হয় অসহনীয় যানজট।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ফুটপাত পুরোপুরি দখল হয়ে গেছে। পথচারীরা বাধ্য হয়ে রাস্তা দখল করে হাঁটে। গাড়ি চলাচলের রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় যানজট বাড়ে। ট্রাফিক পুলিশকে দেখা যায় গলদঘর্ম হতে। তবে সেটি যান চলাচল সুগম করার জন্য, নাকি অন্য কোনো কারণে তা বলা মুশকিল। অভিযোগ আছে, এ সময়ে তারাও একটু বেশি আয় করার জন্য রীতিমতো উঠেপড়ে লাগে।
সেটিও যানজটের কারণ হয়। সারা ঢাকাই এখন বিপণিবিতানের শহর হয়ে গেছে। প্রতিটি বিপণিবিতানের সামনেই দেখা যায় অবৈধ পার্কিংয়ের ছড়াছড়ি। যানজট তাতেও বাড়ছে। সব মিলিয়ে ঢাকার যানজট কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। রাজধানীতে কয়েক বছর ধরেই মেট্রো রেলের তোড়জোড় চলছে। কিন্তু নিচের সড়কগুলো যে চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে, সেদিকে কারো নজরই পড়ছে না।
নগরজীবনের মানোন্নয়নের লক্ষ্যেই নানা ধরনের উন্নয়নকাজ আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু তা করতে গিয়ে কোথাও যেন নগরজীবন স্তব্ধ হয়ে না পড়ে সেটাও দেখতে হবে।
তবে নাগরিক দুর্ভোগের বিষয়টিও যে বিবেচনায় নিতে হবে, এ কথা সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলছেন। বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয় ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজগুলো এমনভাবে করতে হবে, যাতে নাগরিক দুর্ভোগ যথাসাধ্য কমিয়ে আনা যায়। পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশকে অবৈধ পার্কিং নিয়ন্ত্রণসহ দায়িত্ব পালনে আরো নিষ্ঠাবান হতে হবে। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সমন্বিত পদক্ষেপে রাজধানী যানজটমুক্ত হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন