প্রতিবছর সিটি করপোরেশন, ওয়াসাসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের নামে রাস্তাঘাট খোঁড়াখুঁড়ি করে। কর্তারা বলেন, আগামী বছর থেকে জলাবদ্ধতা আর হবে না। প্রতিশ্রুতিই সার। জলাবদ্ধতা রাজধানীবাসীর নিয়তি। নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতেই হয়।
ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতার জন্য প্রধানত দায়ী করা হয় অপর্যাপ্ত নিষ্কাশনব্যবস্থাকে। সংস্কারের অভাবে ড্রেনগুলো দিয়ে পানি নামতে পারে না।
খালগুলো ভরাট ও দখল হয়ে গেছে। আগের মতো জলাভূমি নেই। কিছু এলাকায় খাল ভরাট করে বক্স কালভার্ট বানানো হয়েছে। এখন সেগুলো ময়লায় ঠাসা। বক্স কালভার্ট দিয়েও পানি নামতে পারছে না। এমন আরো অনেক কারণে জলাবদ্ধতা যেন নিয়তি হয়ে উঠেছে।
এটি সবারই জানা যে রাজধানীর ৪৬টির মধ্যে মাত্র ২৬টি খাল কোনো রকমে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর অবস্থাও খুব ভালো নয়।
দখল, দূষণ ও ভরাট হয়ে সেগুলোও এখন মৃতপ্রায়। ফলে প্রতিবছর বর্ষায় নগরীর জলাবদ্ধতা প্রায় স্থায়ী রূপ নেয়। সামান্য বৃষ্টিতেও রাজধানী প্রায় অচল হয়ে পড়ে।
নগরীর জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও অপরিকল্পনার ফসল। এক দিনে এ সমস্যার সমাধান হবে না। এ জন্য আশু ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।
উন্নয়নকাজগুলোর সমন্বয় করতে হবে এবং জবাবদিহি বাড়াতে হবে। সড়ক নষ্ট করে অনির্দিষ্টকাল ধরে কোনো উন্নয়নকাজ চলতে পারে না। খালগুলো দ্রুত দখলমুক্ত ও নাব্য করে তুলতে হবে। ড্রেনগুলো নিয়মিত সংস্কার ও পরিষ্কার করতে হবে। ঢাকার চারপাশের নদীগুলো খননের মাধ্যমে নাব্য রাখতে হবে। আমরা আশা করি, সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেবে।