বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীরা যেসব যুক্তি দেখান তার বেশির ভাগই মানতে নারাজ ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা। তাঁদের মতে, ব্যবসায়ীরা অত্যধিক মুনাফার জন্য বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেন। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে তাঁরা অযৌক্তিক অজুহাত দিতে থাকেন। তাঁদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম সামান্য বাড়লে এখানে লাফ দিয়ে দাম বাড়ে, আর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও এখানে কমে না।অন্যদিকে সরকার কোনো পণ্যের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিলে সঙ্গে সঙ্গে বাজারে দাম বেড়ে যায়। কিন্তু দাম কমানোর ঘোষণা দিলে দুই সপ্তাহেও তা কার্যকর হয় না। বাজারে এ ধরনের অস্থিতিশীলতার জন্য মূলত দায়ী ব্যবসায়ীদের অনৈতিক মুনাফা লাভের আকাঙ্ক্ষা ও অসততা। অতীতে দেখা গেছে, বাজার স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার শুল্ক ছাড় দিলে কিংবা শুল্ক কমিয়ে দিলেও বাজারে তার খুব একটা প্রভাব পড়ে না।ভোক্তারা সেসবের সুবিধা পান না বললেই চলে। বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারের তদারকি বা নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার দুর্বলতাই বাজারে অযৌক্তিক দাম বাড়ার অন্যতম কারণ।
ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারের ওপর সরকারের কার্যকর কোনো নিয়ন্ত্রণই নেই। টিসিবি অতি সীমিত পরিসরে নিত্যপ্রয়োজনীয় কয়েকটি পণ্য বিক্রি করলেও বাজারে তার কোনো প্রভাবই পড়ে না।
বাজার থেকে হঠাত্ করে কোনো পণ্য উধাও হয়ে যাওয়ার প্রকৃত কারণ কখনো খুঁজে দেখা হয় না। আমরা মনে করি, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের জরুরি উদ্যোগ প্রয়োজন।