আবার বছরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হলে নভেম্বরের মধ্যেই সব স্কুলে চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়ে নিতে হবে। ফলে চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাক্রম সম্পন্ন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।
জানা যায়, এমন জটিল অবস্থার জন্য এখন এনসিটিবি ও প্রেস মালিকরা পরস্পরকে দুষছেন। এনসিটিবি বলছে, কয়েকজন প্রেস মালিক বা মুদ্রণকারী নিজেদের সক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি কাজ নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, এনসিটিবি যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। ৪০ কোটি বই ছাপাতে কত হাজার টন কাগজ প্রয়োজন এবং দেশে কাগজের পর্যাপ্ততা আছে কি না সেসব তারা বিবেচনায় নেয়নি। প্রেসগুলোর কতটুকু সক্ষমতা আছে, তা-ও হিসাব করেনি।
শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, স্কুল-কলেজে সব ধরনের ছুটিছাটা বাদ দিয়ে এক শিক্ষাবর্ষে সাধারণত ক্লাস-পরীক্ষা চলে ১৮৫ দিন। আর সেই অনুসারেই শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়। এ বছর শিক্ষাক্রম সম্পন্ন করার সুযোগ খুবই কম। শিক্ষকরা জোর করে পড়া চাপিয়ে দিলেও শিক্ষার্থীরা তা ঠিকমতো আয়ত্তে নিতে পারবে না। এতে এ বছর বড় ধরনের শিখন ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অনেক বছর ধরেই বছরের প্রথম দিন বই উৎসব হতো, শিক্ষার্থীরা হাতে বই পেয়ে যেত। নানা কারণে এ বছর সেই প্রথা ধরে রাখা যায়নি। আমরা আশা করি, যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে হবে এবং যতটা সম্ভব তাদের ক্ষতি কমিয়ে আনতে হবে।