দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৫ লাখ, তৃতীয় শ্রেণির চাকরি পেতে আট থেকে ১০ লাখ এবং চতুর্থ শ্রেণির চাকরি পেতে ঘুষের রেট পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। আর এই টাকার বেশির ভাগ গেছে এমপি-মন্ত্রীর পকেটে। দুর্নীতির সহযোগী ছিলেন অনেক উপাচার্যও।
দেশে এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬১। এর মধ্যে আটটি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় যথাযথ পরিকল্পনার অভাব ছিল। তা ছাড়া এত সংখ্যায় সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনই ছিল না, বরং প্রয়োজন ছিল কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রসারের, যাতে দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিসহ সারা পৃথিবীর প্রযুক্তিগত কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আজ ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জয়জয়কার। এটি সম্ভব হয়েছে ভারতের পরিকল্পিত শিক্ষা উদ্যোগের কারণে। আমাদেরও সেভাবেই এগোতে হবে।
আমরা মনে করি, নতুন ও পুরনো সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরো গতিশীল ও কার্যকর করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।