এতে শিক্ষা খাতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের যে সুযোগ ছিল, তা দিন দিন কমছে।
একসময় প্রধান প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে বিদেশি ছাত্রদের জন্য আলাদা ছাত্রাবাস ছিল। এখন সেসব দখল করে আছেন দেশীয় শিক্ষার্থী কিংবা শিক্ষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল ‘স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হল’।
ইউজিসির সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২২ সালে ২৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৭০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী পড়তেন। এর মধ্যে ছাত্র ৫০৪ জন এবং ছাত্রী ১৬৬ জন। ২০২১ সালে বিদেশি শিক্ষার্থী ছিলেন ৬৭৭ জন। ২০২০ সালে ছিলেন ৭৬৭ জন। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত কমছে। ২০২২ সালে দেশে ১০০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ছিলেন এক হাজার ২৮৭ জন। আগের বছর ২০২১ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থী ছিলেন এক হাজার ৬০৪ জন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ৩১৭ জন। এভাবে ক্রমাগত বিদেশি শিক্ষার্থী কমার পেছনে তিনটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেগুলো হলো—ক. দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ও মানের ঘাটতি। খ. যেসব দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসতেন, সেসব দেশ উচ্চশিক্ষায় অনেক বেশি উন্নতি করেছে। গ. বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিক্যাল এডুকেশনের স্বীকৃতি না পাওয়া। ফলে বাংলাদেশের ডিগ্রি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। তাই বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা আগ্রহ হারাচ্ছেন।
আমাদের উচ্চশিক্ষার দুর্গতি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এ থেকে উচ্চশিক্ষাকে রক্ষা করতে হবে। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করবে।