তা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত সেতুটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
কোনো এলাকায় কোনো অবকাঠামো নির্মাণের সিদ্ধান্ত খুব সহজে হয় না। এ জন্য স্থানীয় লোকজনের অনেক ধরনা দিতে হয়। তারপর কোনো অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে স্বাভাবিকভাবে স্থানীয় লোকজন খুশি হয়।
প্রত্যাশায় থাকে, কখন সেই অবকাঠামোটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। কখন তারা সেটি ব্যবহার করতে পারবে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহারের আগে সেতুটি ধসে পড়ায় মানুষ আশাহত হয়েছে। ছয় মাস ধরে খাল পেরোতে এবং মালপত্র পরিবহন করতে তারা ভীষণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, সেতুটি অত্যন্ত নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। ঠিকাদারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিরূপ আবহাওয়া ও খালের পানির প্রবল স্রোতে মাটি সরে যাওয়ায় সাপোর্টিং খুঁটি হেলে পড়েছিল।সে কারণে সেতুটি ধসে গেছে। কিন্তু স্থানীয় লোকজন তা অস্বীকার করে বলেছে, এই খালে প্রায় কোনো স্রোতই থাকে না। আমাদের প্রশ্ন, যাঁরা সেতুর কাজ তদারকির দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা কি বিষয়টি যথাযথভাবে দেখেছিলেন? ছয় মাসেও কেন সেতুটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলো না? এলাকার মানুষকে যে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, তার কি কোনো গুরুত্ব নেই?শুধু নরসিংদী নয়, এমন ঘটনা সারা দেশে অহরহ ঘটছে।প্রকাশিত অপর এক খবরে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় নদীর ওপর ভুল নকশায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু দুই বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর সেতুটি সচল করতে আরো সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রসারণ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি)। স্থানীয় লোকজন জানায়, নদীর প্রস্থের তুলনায় সেতুর দৈর্ঘ্য অনেক ছোট।পরিকল্পনার ত্রুটি ও সমন্বয়হীনতার কারণে এক বছরের প্রকল্প পাঁচ বছরেও সম্পন্ন করা যায়নি। সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় তা জনগণের কোনো কাজে আসছে না। জানা যায়, এরই মধ্যে বাকি কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। চলতি শুষ্ক মৌসুমেই পুনরায় সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।আমরা আশা করি, গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আরো মনোযোগী হবে। অবকাঠামো যথাসময়ে এবং মানসম্মতভাবে নির্মিত না হলে জনগণের যে দুর্ভোগ হয়, তাকে আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।