এ বছর শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে আক্রান্তের হার বেশি। চলতি বছর এ পর্যন্ত যত মানুষ রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে, তার ৬০ শতাংশই হয়েছে সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে অর্থাৎ গ্রামাঞ্চলে। তাই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও মশা নিধন কর্মসূচি শুরু করা প্রয়োজন।
সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার ঘনত্ব বেড়ে যায়।
বর্ষায় যেখানে-সেখানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে এবং খুব সামান্য পানিতেই এই মশা বংশবিস্তার করতে পারে। নাগরিক সচেতনতার অভাব থাকায় মানুষ যত্রতত্র পলিথিনের ব্যাগ, ডাবের খোসা, বোতল, ক্যান, পরিত্যক্ত টায়ার বা বিভিন্ন ধরনের পাত্র ফেলে রাখে। সেগুলোতে জমা বৃষ্টির পানিতে এডিস মশা অনায়াসে বংশবিস্তার করতে পারে। এ ছাড়া অনেক বাড়ির ছাদে, বারান্দায় ফুলের টব রাখা হয় এবং সেগুলোতে পানি জমে থাকে। অনেকের ঘরেও ছোটখাটো পাত্রে পানি জমে থাকে। নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে তো রীতিমতো মশার চাষ করা হয়। আর দুই বাড়ির মধ্যখানে সরু জায়গায় রীতিমতো আবর্জনার স্তূপ জমে থাকে। এসব জায়গায় এডিস মশার বংশবিস্তার দ্রুততর হয়।
আমরা মনে করি, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। গ্রামাঞ্চলে যেহেতু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাই গ্রামেও মশা নিধনে জোর দিতে হবে। পাশাপাশি মানুষকেও আরো সতর্ক হতে হবে। মশারি ব্যবহার, ইনসেক্ট রিপেলেন্ট স্প্রে বা অন্যান্য পদ্ধতির ব্যবহার বাড়াতে হবে।