English

20 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

মশা নিধনে উদ্যোগ নিন: বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

- Advertisements -
যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল ততটা না হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২০৪ জন। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ১২৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭৫ জন।
সাধারণত বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে, অর্থাৎ শীতেও অনেক রোগী ছিল। তাই ধারণা করা হয়েছিল এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বাড়তে পারে। কিন্তু বৃষ্টিপাতের ধরন, মশক নিধন কর্মসূচি ও মানুষের সচেতনতা—নানা কারণে রোগটি সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি।
গত বছর এ সময় পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ২৮ জন। মারা গিয়েছিল ৩৬৪ জন। এ বছর এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে সাত হাজার ৭৬৭ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। তবে এটি ২০২২ সালের তুলনায় অনেক বেশি।
২০২২ সালে ১০ আগস্ট পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছিল তিন হাজার ৪০৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ১৫ জনের।

এ বছর শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে আক্রান্তের হার বেশি। চলতি বছর এ পর্যন্ত যত মানুষ রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে, তার ৬০ শতাংশই হয়েছে সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে অর্থাৎ গ্রামাঞ্চলে। তাই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও মশা নিধন কর্মসূচি শুরু করা প্রয়োজন।

সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার ঘনত্ব বেড়ে যায়।

বর্ষায় যেখানে-সেখানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে এবং খুব সামান্য পানিতেই এই মশা বংশবিস্তার করতে পারে। নাগরিক সচেতনতার অভাব থাকায় মানুষ যত্রতত্র পলিথিনের ব্যাগ, ডাবের খোসা, বোতল, ক্যান, পরিত্যক্ত টায়ার বা বিভিন্ন ধরনের পাত্র ফেলে রাখে। সেগুলোতে জমা বৃষ্টির পানিতে এডিস মশা অনায়াসে বংশবিস্তার করতে পারে। এ ছাড়া অনেক বাড়ির ছাদে, বারান্দায় ফুলের টব রাখা হয় এবং সেগুলোতে পানি জমে থাকে। অনেকের ঘরেও ছোটখাটো পাত্রে পানি জমে থাকে। নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে তো রীতিমতো মশার চাষ করা হয়। আর দুই বাড়ির মধ্যখানে সরু জায়গায় রীতিমতো আবর্জনার স্তূপ জমে থাকে। এসব জায়গায় এডিস মশার বংশবিস্তার দ্রুততর হয়।

আমরা মনে করি, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। গ্রামাঞ্চলে যেহেতু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাই গ্রামেও মশা নিধনে জোর দিতে হবে। পাশাপাশি মানুষকেও আরো সতর্ক হতে হবে। মশারি ব্যবহার, ইনসেক্ট রিপেলেন্ট স্প্রে বা অন্যান্য পদ্ধতির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন