ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে রয়েছে ৫৪টি স্পট। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে রয়েছে ছয়টি স্পট। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে রয়েছে ৪২টি স্পট এবং ঢাকা-পাটুরিয়া-আরিচা মহাসড়কে রয়েছে আটটি স্পট। উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত এবারও যানজট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক অবনতি হয়েছে।ডাকাতি, ছিনতাই অনেক বেড়েছে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহন আটকে গণডাকাতির বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রায় ৭০০ পুলিশ সদস্য কাজ করবেন।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, এই সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। অন্যান্য বাহিনীকেও কাজে লাগাতে হবে। মানুষ শুধু পরিবারের কাছে যাবেই না, ঈদ শেষে আবার কর্মস্থলেও ফিরবে। এতে ঈদের আগে ও পরে কমপক্ষে এক সপ্তাহ করে দুই সপ্তাহের জন্য যানজট নিরসন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে।
আগের তুলনায় রেলওয়ের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রায়ই লাইনচ্যুতির অনেক ঘটনা ঘটছে। রেলপথ সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।
ত্রুটিপূর্ণ নৌযান, অত্যধিক যাত্রী পরিবহন এবং প্রশিক্ষণহীন চালকের কারণে প্রায়ই নৌদুর্ঘটনা ঘটে। এবার যেন সে রকম কোনো দুঃখজনক ঘটনা না ঘটে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
আমরা আশা করি, এবারের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।