English

31 C
Dhaka
সোমবার, মার্চ ২৪, ২০২৫
- Advertisement -

ভোগান্তি কমানোর উদ্যোগ নিন: শুরু হচ্ছে ঈদে ঘরমুখো যাত্রা

- Advertisements -
বছরে দুটি ঈদে নাড়ির টানে মানুষ ছুটে যায় আত্মীয়-পরিজনদের কাছে। সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঈদ উৎসব উদযাপন করতে এরই মধ্যে মানুষ বাড়িমুখো হতে শুরু করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এবার ঈদুল ফিতরে এক কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ রাজধানী ছেড়ে যাবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা, এবারের ঈদ যাত্রা কিছুটা কষ্টকর হতে পারে। একদিকে রয়েছে যানজটের ভোগান্তি, অন্যদিকে রয়েছে নিরাপত্তাঝুঁকি। বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেটসহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ১৫৯টি স্পটে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর বাইপাইল ও চন্দ্রা মোড়ে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ থাকতে পারে।
জননিরাপত্তা বিভাগের তথ্যানুযায়ী, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩৮-৩৯টি সড়কের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ, যা দ্রুত মেরামত প্রয়োজন। এরই মধ্যে যানজট নিরসনে জননিরাপত্তা বিভাগ ঈদের আগে ও পরে চিহ্নিত স্পটগুলোতে বিশেষ নজরদারি রাখতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে কিছু পরামর্শ দিয়েছে।জাতীয় মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ করিডরগুলোর সড়ক ঈদের সাত দিন আগেই মেরামত কিংবা সংস্কার করতে বলা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক সূত্র জানায়, যানজটের আশঙ্কা করা চিহ্নিত ১৫৯টি স্পটের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে রয়েছে ৪৯টি স্পট।
ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে রয়েছে ৫৪টি স্পট। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে রয়েছে ছয়টি স্পট। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে রয়েছে ৪২টি স্পট এবং ঢাকা-পাটুরিয়া-আরিচা মহাসড়কে রয়েছে আটটি স্পট। উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত এবারও যানজট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক অবনতি হয়েছে।ডাকাতি, ছিনতাই অনেক বেড়েছে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহন আটকে গণডাকাতির বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রায় ৭০০ পুলিশ সদস্য কাজ করবেন।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, এই সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। অন্যান্য বাহিনীকেও কাজে লাগাতে হবে। মানুষ শুধু পরিবারের কাছে যাবেই না, ঈদ শেষে আবার কর্মস্থলেও ফিরবে। এতে ঈদের আগে ও পরে কমপক্ষে এক সপ্তাহ করে দুই সপ্তাহের জন্য যানজট নিরসন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে।
আগের তুলনায় রেলওয়ের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রায়ই লাইনচ্যুতির অনেক ঘটনা ঘটছে। রেলপথ সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।
ত্রুটিপূর্ণ নৌযান, অত্যধিক যাত্রী পরিবহন এবং প্রশিক্ষণহীন চালকের কারণে প্রায়ই নৌদুর্ঘটনা ঘটে। এবার যেন সে রকম কোনো দুঃখজনক ঘটনা না ঘটে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
আমরা আশা করি, এবারের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন