English

26 C
Dhaka
সোমবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

ভোক্তার অধিকার রক্ষা করুন: নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন

- Advertisements -
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। বাজারের অস্বাভাবিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের যেসব সংস্থা রয়েছে, তারাও কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত দুই বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সাতটি পণ্যের দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত। প্রায় কাছাকাছি বেড়েছে আরো অনেক পণ্যের দাম।
এই অবস্থায় দরিদ্র, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জীবনে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে গেছে। কারণ জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও সে অনুপাতে তাদের আয় বাড়েনি। আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সমন্বয় করতে অনেককেই পরিবারের সদস্যদের অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান কাটছাঁট করতে হচ্ছে।
তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা, ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উত্তেজনা- সব মিলিয়ে বিশ্ববাজারে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে গেছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ডলার সংকট। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বাজারে, বিশেষ করে আমদানি পণ্যের বাজারে বেশি অস্থিরতা দেখা যায়। আর সব কিছুকে ছাড়িয়ে যায় বাজারে কিছু ব্যবসায়ীর অতি মুনাফার লোভ।
তারা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে ইচ্ছামতো দাম বাড়াতে সক্ষম হয়। অন্যদিকে বাজারের এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারের সক্ষমতা খুবই কম। তাই বাংলাদেশে হঠাৎ হঠাৎ কোনো কোনো পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে।
বাজারে যে সাতটি নিত্যপণ্যের দাম ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে তার মধ্যে আছে পেঁয়াজ, রসুন, জিরা, চিনি, ধনে, শুকনা মরিচ ও আলু। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেও এসব পণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারেনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, দেশে গত নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.৭৬ শতাংশ। আর গত অক্টোবর থেকে আগের তিন মাস খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ শতাংশের ওপরে।
কিন্তু সেভাবে তো সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে না। তারা জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করবে কিভাবে? এই সাধারণ মানুষ বা ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার কি তা করতে পারছে?
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত। এর সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।
বাংলাদেশে পেঁয়াজের ঘাটতি বছরে পাঁচ লাখ টনের মতো, অথচ বছরে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয় ১০ লাখ টনের মতো। পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য পচনশীল পণ্যের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত করতে হবে।
অনৈতিক মুনাফাকারীদের বিরুদ্ধে দুদক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার অনুসন্ধান বাড়াতে হবে। আমরা চাই, বাংলাদেশে ভোক্তার অধিকার সর্বোত্তম রূপে সংরক্ষিত হোক।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন