এই অবস্থায় দরিদ্র, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জীবনে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে গেছে। কারণ জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও সে অনুপাতে তাদের আয় বাড়েনি। আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সমন্বয় করতে অনেককেই পরিবারের সদস্যদের অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান কাটছাঁট করতে হচ্ছে।
তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা, ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উত্তেজনা- সব মিলিয়ে বিশ্ববাজারে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, দেশে গত নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.৭৬ শতাংশ। আর গত অক্টোবর থেকে আগের তিন মাস খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ শতাংশের ওপরে।
কিন্তু সেভাবে তো সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে না। তারা জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করবে কিভাবে? এই সাধারণ মানুষ বা ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার কি তা করতে পারছে?
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত। এর সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।
বাংলাদেশে পেঁয়াজের ঘাটতি বছরে পাঁচ লাখ টনের মতো, অথচ বছরে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয় ১০ লাখ টনের মতো। পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য পচনশীল পণ্যের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত করতে হবে।
অনৈতিক মুনাফাকারীদের বিরুদ্ধে দুদক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার অনুসন্ধান বাড়াতে হবে। আমরা চাই, বাংলাদেশে ভোক্তার অধিকার সর্বোত্তম রূপে সংরক্ষিত হোক।