একে তো নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দাম, তার ওপর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল; মোটাদাগে যাকে বলা যায় ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। সোমবার যুগান্তরের খবরে প্রকাশ, গত এপ্রিলের পর থেকে অধিকাংশ গ্রাহকের বিল দ্বিগুণের বেশি আসছে।
দিন দিন বিলের এই উত্তাপ বেড়েই চলেছে। আগে যাদের বিল গড়ে ১২শ থেকে ১৫শ টাকা আসত, এখন তাদের বিল আসছে সাড়ে ৩ হাজার টাকার বেশি। মে-জুন মাসে কারও কারও এই বিল এসেছিল ৭-৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। গ্রাহকদের অভিযোগ, বিতরণ কোম্পানিগুলো পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করছে।
আবার রাজধানীর অনেক প্রিপেইড মিটার নষ্ট হলেও তা মেরামত করা হচ্ছে না। এ সুযোগে তাদেরও অতিরিক্ত বিল জমা দিতে বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ভূতুড়ে বিলের অভিযোগ রাজধানী ছাড়িয়ে প্রায় সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে।
বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো চলতি বছর তিন দফায় মূল্যবৃদ্ধির যুক্তি দাঁড় করালেও বিশ্লেষকরা বলছেন, সিস্টেম লস কমাতেই গ্রাহকের বিলে বাড়তি বোঝা যোগ করা হচ্ছে।
এদিকে বিলের কারসাজিতে যখন বৈধ গ্রাহকদের নাভিশ্বাস উঠেছে, তখন বিদ্যুৎ বিভাগের কারও কারও যোগসাজশে অবৈধ সংযোগ নিয়ে অবাধে এর ব্যবহারও হচ্ছে। ফলে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, মেটাতে হচ্ছে ভর্তুকি।
মূল্যস্ফীতির এ দুঃসময়ে জনসাধারণের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই কাম্য নয়। বরং এ খাতে অপচয় ও দুর্নীতি কমিয়ে বিদ্যুতের দাম সহনীয় করাটাই কাম্য। বিদ্যুৎ বিভাগ বিষয়টির দ্রুত সমাধান করে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাবে, এটাই প্রত্যাশা।