English

15 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
- Advertisement -

ব্যবসায়ীদের আস্থায় নিতে হবে: সংকটে বেসরকারি খাত

- Advertisements -
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের চার মাস অতিবাহিত হয়েছে। সরকারকে নানা রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য নানা রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতির প্রাণ যে বেসরকারি খাত, সেখানে এখনো স্বাভাবিকতা ফিরে আসেনি।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের নানা রকম প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ব্যাংকঋণের সুদহার ক্রমাগত বাড়তে থাকায় পুঁজি সংগ্রহেও তাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তদুপরি ব্যবসার পরিবেশ নিয়েও ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করছে। পরিবারের সদস্যসহ অনেক ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা, হত্যা মামলা দেওয়া, গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা, নিরাপত্তার হুমকি, নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন—এমন কিছু বিষয়ে দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তামহলে এক ধরনের শঙ্কা কাজ করছে।
ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেসরকারি উদ্যোগ, তথা দেশের অর্থনীতি। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে এক আলোচনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান যথার্থই বলেছেন, ব্যবসায়ীদের আস্থায় নিতে হবে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই এগিয়ে যেতে হবে।
দেশের জনসংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে কর্মসংস্থানের চাহিদা।
তার জন্য প্রয়োজন শিল্প-কলকারখানা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার। এ জন্য উদ্যোক্তা তৈরিতে আরো বেশি মনোযোগ দিতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নয়ন করতে হবে। আর এসব উদ্যোগ রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত নানা পদক্ষেপ থেকে পরিবেশ সৃষ্টির বদলে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
ব্যাংকঋণের সুদহার এরই মধ্যে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমছে। অনেকের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘ব্যাংক হিসাব জব্দ কোনো সমাধান আনতে পারে না।
আইন ও আদালতের প্রক্রিয়ার বাইরে এভাবে ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার বিষয়টি পছন্দ করি না।’ এটাকে তিনি আইনসিদ্ধও মনে করেন না। তার মতে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কারো ব্যাংক হিসাব জব্দ করা কাম্য নয়।
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ স্বাভাবিক ও স্বচ্ছন্দ না হওয়ায় বাজারেও তার প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে, নভেম্বর মাসে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৩.৮০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশা বাড়ছে। এনবিআর চেয়ারম্যানের মতো আমরাও মনে করি, ব্যবসায়ীদের আস্থায় নিতে হবে। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের চেষ্টা চালাতে হবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন