English

35.7 C
Dhaka
বুধবার, মার্চ ২৬, ২০২৫
- Advertisement -

বেতন-বোনাস পরিশোধ করুন: উত্তপ্ত শিল্পাঞ্চল

- Advertisements -
নানামুখী সংকটে নিমজ্জিত দেশের শিল্প খাত। গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট ক্রমেই প্রবল হচ্ছে। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রয়েছে ডলার সংকট।
কমছে ঋণপত্র খোলা এবং নিষ্পত্তির হার। কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর মধ্যে কয়েক শ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ধুঁকছে অনেক কারখানা।
অনেক কারখানা নিয়মিত বেতন-ভাতা দিতে পারছে না। ফলে বাড়ছে শ্রম অসন্তোষ। এরই মধ্যে চলে এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা সবাই বেতন-বোনাসের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন, কিন্তু অনেক কারখানাই এখনো তা দিতে পারেনি।ফলে বাড়ছে আরো অসন্তোষ।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঈদে বেতন-বোনাস, ছুটি ও বিভিন্ন দাবিতে শিল্পাঞ্চলগুলোতে রীতিমতো উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। বরং প্রতিদিনই আন্দোলন, বিক্ষোভ, কর্মবিরতিতে সোচ্চার আছেন কর্মীরা। সরকারের ত্রিপক্ষীয় কমিটির (মালিক-শ্রমিক এবং সরকারের) বৈঠকে সমন্বিত উদ্যোগের ফলে মজুরি ও বোনাস নিয়ে সংকট কিছুটা প্রশমন হলেও এখনো কয়েকটি কারখানা ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ নিয়ে গত শনিবার কয়েকটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষও ছিল।জানা যায়, শনিবার বকেয়া বেতনের দাবিতে চট্টগ্রাম নগরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন জেএমএস গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি পোশাক তৈরি কারখানার শ্রমিকরা। নগরের ফ্রিপোর্ট এলাকায় বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। পরে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সমঝোতার পর দুপুর ১টার দিকে সড়ক থেকে অবরোধকারীরা সরে গেলে যান চলাচল শুরু হয়। কারখানাটি চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত।
ওদিকে গাজীপুর মহানগরীর বাসন এলাকার জায়ান্ট নিট ফ্যাশন কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় শনিবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। ফলে সকাল থেকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে দুই ঘণ্টা পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামীম কালের কণ্ঠকে বলেন, শনিবার ছিল তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও মজুরি প্রদানের শেষ দিন।কিন্তু শনিবার বন্ধের দিন হওয়ায় কিছু সমস্যা হয়েছে। তাঁদের ধারণা, এরই মধ্যে ৬০ শতাংশ শ্রমিকের মজুরি হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মজুরি হয়েছে ৮০ শতাংশ আর মার্চের বেতন খুব একটা পাননি শ্রমিকরা। বিজিএমইএর সাবেক জ্যেষ্ঠ সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব কালের কণ্ঠকে বলেন, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে ২০ রোজার মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও বোনাস ৮০ শতাংশের বেশি কারখানার মালিকরা পরিশোধ করেছেন। বাকিগুলো নিয়েও সংকটের আশঙ্কা করছেন না তিনি।

আমরা চাই না সারা বছর কাজ করার পর ঈদের আগে শ্রমিকরা বেতন-বোনাসের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসুন। এর আগেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন, এমনটাই প্রত্যাশিত।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন