তার পরও বছরের পর বছর এই ৪০টি করাতকল চলছে কিভাবে? বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন কী করছে? অভিযোগ আছে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়মিত অর্থ প্রদান করেই এসব করাতকল চালানো হয়। এর ফলে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে উপযুক্ত নজরদারির অভাবে ধ্বংস হচ্ছে মূল্যবান বনাঞ্চল।
বনভূমির ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো করাতকল স্থাপনের বিধান নেই। বাস্তবে দেখা যায়, বনভূমির দুই-তিন কিলোমিটারের মধ্যেই বেশির ভাগ করাতকল স্থাপন করা হয়। শুধু নেত্রকোনা নয়, সারা দেশের চিত্র একই রকম। বিভিন্ন সময় প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে, ভাওয়াল, মধুপুর, শ্রীমঙ্গল, দিনাজপুর, পঞ্চগড়সহ আরো অনেক স্থানেই এ রকম অসংখ্য অবৈধ করাতকল রয়েছে। কিন্তু এই ধ্বংসাত্মক প্রবণতা রোধের কার্যকর কোনো প্রচেষ্টা দেখা যায় না।
দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু বনভূমিহীন সেই দেশে মানুষ সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে পারবে কি? এখনো সময় আছে দেশকে বৃক্ষসম্পদে সমৃদ্ধ করার। এ জন্য অবৈধ করাতকলের ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। বৈধ করাতকলের ওপরও নজরদারি বাড়াতে হবে। যেকোনো মূল্যে বনভূমির ধ্বংস ঠেকাতে হবে।