English

17 C
Dhaka
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
- Advertisement -

বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে হবে: বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন

- Advertisements -
দেশের শিল্প খাত, বিশেষ করে বেসরকারি শিল্প খাত ভালো নেই। প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে। গত আগস্টে সরকার পতনের পর থেকেই দেশে এক ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো নয়।
ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদের হার, ডলার সংকট, এলসি জটিলতায় কাঁচামাল আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি গ্যাস ও জ্বালানি সংকটের কারণে কমছে উৎপাদন। অনেক কারখানায় ঠিকমতো বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। ফলে বাড়ছে শ্রমিক অসন্তোষ।
এই অবস্থায় বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধিও কমছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। গত ডিসেম্বরে ঋণের প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৭.২৮ শতাংশে, যা এখন পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম। তারল্য ব্যবস্থাপনায় ভয়াবহ সংকট, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, টাকার অবমূল্যায়ন, বিনিয়োগ মন্দাসহ নানা কারণে দেশের বেসরকারি বিনিয়োগে ভাটার টান শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বেসরকারি খাতের ঋণে প্রবৃদ্ধি ৭.২৮ শতাংশ হয়েছিল, দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২১ সালের মে মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭.৫৫ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে অর্জিত প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে নিচে রয়েছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দেশের ব্যাংকগুলোর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২১ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি ঋণ ছিল চার লাখ ১৫ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।
অন্যান্য সরকারি খাতের ঋণ ছিল ৫০ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের একই সময়ে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বেসরকারি খাতের ঋণ বেড়েছে মাত্র এক লাখ ১৪ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা বা ৭.২৮ শতাংশ।
বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কমে যাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকটের কারণে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের পরিবেশ ছিল না। ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এখন অনেকেই বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছেন। মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও কমেছে। ফলে ঋণের চাহিদা কম।’
আমরা মনে করি, বেসরকারি খাতের বিকাশ ত্বরান্বিত করতে নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে। সর্বোপরি এই খাতে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন