বাংলাদেশে করমুক্ত আয় এখন সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত, যা আগে ছিল তিন লাখ টাকা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাষ্ট্রকে করের আওতা নির্ধারণ করে দিলেই হবে না, কারা কারা এই আওতায় পড়ে, তাদের শনাক্ত করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এই জায়গাটিতে আমরা অনেক অনেক পথ পিছিয়ে আছি। এই পশ্চাৎপদতা রয়েছে ব্যক্তিগত সততার প্রশ্নেও।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাষ্ট্রকে করের আওতা নির্ধারণ করে দিলেই হবে না, কারা কারা এই আওতায় পড়ে, তাদের শনাক্ত করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এই জায়গাটিতে আমরা অনেক অনেক পথ পিছিয়ে আছি। এই পশ্চাৎপদতা রয়েছে ব্যক্তিগত সততার প্রশ্নেও।
বিশ্লেষকরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, বর্তমান অঙ্কের চেয়ে বহুগুণ বেশি কর আদায়ের সুযোগ বাংলাদেশের রয়েছে।
সাধারণ মানুষ আয়কর দিতে চায়। আগে কর মেলা করা হতো। তিন বছর ধরে আয়কর মেলার আয়োজন করছে না এনবিআর।
করদাতাদের সুবিধায় মেলার পরিবর্তে এনবিআরের অধীন সারা দেশে ৩১টি কর অঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেলে মেলার মতো উৎসবমুখর পরিবেশে রিটার্ন জমা নেওয়া হয়েছে এবার।
মেলার সব সুযোগ-সুবিধাই পাওয়া গেছে কর অঞ্চলগুলোতে। অনলাইন পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ থাকায় এবার বেশ সাড়া পাওয়া গেছে অনলাইনে রিটার্ন জমায়। এখন নিশ্চিত করেই বলা যায়, আগের চেয়ে করদাতাদের আগ্রহ বাড়ছে। অনেকেই ঝামেলামুক্ত উপায়ে বা পরিবেশে কর দিতে চায়।
কর দেওয়াকে দায়িত্ব মনে করছে তারা। এই আগ্রহকে ধরে রাখতেই বোধ হয় এনবিআর ব্যক্তি করদাতাদের বার্ষিক আয় বিবরণী বা রিটার্ন দাখিলের সময় দুই মাস বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে। গত ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া আয়কর সেবা মাস শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩০ নভেম্বর।
আয়কর আইন ২০২৩ প্রবর্তিত হয়েছে। এই আইনটি অনেক ভালো হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, বিপুলসংখ্যক মানুষকে দেশের আয়কর রিটার্নের আওতায় আনতে এনবিআরকে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। রিটার্ন জমা দেওয়ার বিষয়টিও সহজতর করতে হবে।
জাতীয় সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে আরো গতিশীল করার স্বার্থেই দেশের কর ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু হওয়া প্রয়োজন। আমরা আশা করি, এনবিআর সেই লক্ষ্যে কর আদায়ে আরো দক্ষতার পরিচয় দেবে।