গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যে সূক্ষ্ম কণা বায়ুদূষণের প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, বায়ুদূষণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জনস্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। দ্রুত বাড়ছে শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ। হাসপাতালগুলোতে অ্যাজমা, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে।
১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। অথচ ঢাকার বায়ুমান সূচক প্রায়ই ৪০০ ছাড়িয়ে যায় এবং নাগরিকদের মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়।
শুধু বছরে লক্ষাধিক মৃত্যুই নয়, তার চেয়েও অনেক বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সিআরইএর প্রতিবেদনে বলা হয়, দূষণে প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে ২৬ কোটি ৩০ লাখ কর্মদিবস, যা উৎপাদনক্ষমতা কমাচ্ছে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করছে। এর আগে বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, বায়ুদূষণজনিত কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর জিডিপির ৩.৯ থেকে ৪.৪ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হয়।
বায়ুদূষণ রোধে অনেক কথা হলেও কাজ হয় খুবই কম। যথেচ্ছ খোঁড়াখুঁড়ি, সনাতন পদ্ধতির ইটভাটা, মানহীন ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন—কোনো কিছুরই কমতি নেই। আমরা চাই, নাগরিকদের জীবন ক্ষয়কারী বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হোক।