English

16 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
- Advertisement -

বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন: লাগামহীন দ্রব্যমূল্য

- Advertisements -
অন্তর্বর্তী সরকারের চার মাস অতিবাহিত হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশার সঙ্গে সংগতি রেখে প্রধান কিছু বিষয়ে সংস্কারের রূপরেখা প্রণয়নের কাজ চলছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সৃষ্ট অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার যথেষ্ট সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু নাগরিক জীবনের প্রধান দুটি চাহিদাকে সরকার ততটা সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে পারেনি।
একটি হলো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অন্যটি দ্রব্যমূল্য। ফলে মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশা বাড়ছে। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এমনই মতামত ব্যক্ত করেছেন।
শুধু রাজনৈতিক নেতারাই নন, গণমাধ্যমেও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিনিয়ত জনগণের হতাশার চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে।
চাল, তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তি। নিম্ন ও স্থির আয়ের মানুষ কোনোভাবেই তাদের সীমিত আয় দিয়ে সংসারের চাহিদা মেটাতে পারছে না। ফলে পরিবারের খাদ্যচাহিদা ও পুষ্টিচাহিদার সঙ্গে আপস করতে বাধ্য হচ্ছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু শনিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, বাজার পরিস্থিতি বেসামাল।
সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা সাইফুল হক বলেন, নানা ধরনের দাবিদাওয়া নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ রাস্তায় নামায় পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। এরপর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এই অস্থিতিশীলতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় জনগণ, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের আস্থাহীনতা বেড়েছে। বাজারব্যবস্থা সংস্কারে উদ্যোগ না নিয়ে পুরনো ব্যবস্থা বহাল রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
এতে জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, আমাদের বাজারব্যবস্থায় অনেক ধরনের সিন্ডিকেট বা চক্র ক্রিয়াশীল। মজুদদারি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে তারা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করে। অসাধু অনেক ব্যবসায়ীর অতি মুনাফার লোভও বাজারকে অস্থিতিশীল করে। পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের যেসব সংস্থা রয়েছে, তাদের কার্যকলাপও আশানুরূপ নয়। টিসিবির ট্রাক সেল কিংবা খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংস্থার খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ বাজারে কোনো প্রভাবই ফেলতে পারছে না।
এই পরিস্থিতি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে দেশে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তা ছাড়া দারিদ্র্যের হার নির্ণয় নিয়েও সমস্যা আছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান বলেছেন, দেশে বৈষম্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে কাঠামোগত সমস্যা আছে। সমাজে বৈষম্য বাড়ছে, কিন্তু সেই বৈষম্যের চিত্র যথাযথভাবে উঠে আসছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আমরা আশা করি, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন