একটি হলো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অন্যটি দ্রব্যমূল্য। ফলে মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশা বাড়ছে। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এমনই মতামত ব্যক্ত করেছেন।
শুধু রাজনৈতিক নেতারাই নন, গণমাধ্যমেও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিনিয়ত জনগণের হতাশার চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে।
এতে জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, আমাদের বাজারব্যবস্থায় অনেক ধরনের সিন্ডিকেট বা চক্র ক্রিয়াশীল। মজুদদারি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে তারা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করে। অসাধু অনেক ব্যবসায়ীর অতি মুনাফার লোভও বাজারকে অস্থিতিশীল করে। পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের যেসব সংস্থা রয়েছে, তাদের কার্যকলাপও আশানুরূপ নয়। টিসিবির ট্রাক সেল কিংবা খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংস্থার খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ বাজারে কোনো প্রভাবই ফেলতে পারছে না।
এই পরিস্থিতি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে দেশে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তা ছাড়া দারিদ্র্যের হার নির্ণয় নিয়েও সমস্যা আছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান বলেছেন, দেশে বৈষম্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে কাঠামোগত সমস্যা আছে। সমাজে বৈষম্য বাড়ছে, কিন্তু সেই বৈষম্যের চিত্র যথাযথভাবে উঠে আসছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আমরা আশা করি, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।