এতে বড় ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা সয়াবিন তেলের সংকট বাজারব্যবস্থার দুর্বলতা এবং সরকারি নজরদারির অভাবের একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে রাজধানীর বাজারে এখনো চড়া চাল ও মুরগির দাম।বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনা মোটেই সংগঠিত নয়।
এর সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন। কোনো কোনো সময় বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেও পণ্যের দাম বাড়ানো হয়।
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তি। অন্তর্বর্তী সরকার নাগরিক জীবনের এই একটি চাহিদা সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে পারেনি। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে সৃষ্ট অস্থিরতা কোনোভাবেই কাটছে না।
নিম্ন ও স্থির আয়ের মানুষ কোনোভাবেই তাদের সীমিত আয় দিয়ে সংসারের চাহিদা মেটাতে পারছে না। সাধারণ মানুষের জীবন রীতিমতো দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। একটি কথা মনে রাখা দরকার, বাজার কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে রাজনৈতিকভাবেও সংবেদনশীল। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে মানুষ সরকারকে আস্থায় রাখবে। বাজার স্থিতিশীল থাকলে অনেক সমস্যা বড় হয়ে দেখা দেবে না।
সামনে রমজান আসছে। রোজার মাসে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে। অনেক সময় তা ভোক্তার ক্রয়সীমার বাইরে চলে যায়। কাজেই এখনই বাজারে হস্তক্ষেপ না বাড়ালে উত্তরোত্তর পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যাবে। ভোক্তার স্বার্থ দেখার জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে। তাদের আরো গতিশীল হতে হবে, কর্মকাণ্ড আরো বাড়াতে হবে।
বাজার সার্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে বাজার সাধারণের নাগালের মধ্যে আসবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।