এতে সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা। অথচ ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে যুক্ত এই খালটি একসময় শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও পয়োনিষ্কাশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।
বংশ খালটি প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ। শহরের গেটপাড়, মালগুদাম, মৃধাপাড়া, মুকুন্দবাড়ি, দয়াময়ী মোড়, মেডিক্যাল রোড, রানীগঞ্জ বাজার হয়ে কালীঘাট দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে গিয়ে মিশেছে।
ফলে খালটির প্রস্থ কোথাও তিন মিটার আবার কোথাও আড়াই মিটার হয়ে গেছে। বর্তমানে খালের দুই পাশে গড়ে উঠেছে প্রচুর বাসাবাড়ি, হোটেল-রেস্তোরাঁ, বেসরকারি হাসপাতালসহ বড় বড় দালান। এসব স্থাপনার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় এই বংশ খালে। ফলে খালটি এখন ময়লা-আবর্জনার একটি স্থায়ী ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খাল দিয়ে বৃষ্টির পানি নামতে পারে না বললেই চলে। তাই কিছুটা ভারি বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেখা দেয়।
দেশে নদ-নদী, খাল ও জলাশয় রক্ষায় অনেক আইন রয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে বিভিন্ন সময়ে এ ব্যাপারে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনও বলা হয়েছে, নদী বা খালের জায়গা যদি ভুলক্রমে কারো নামে রেকর্ড হয়ে থাকে কিংবা নামজারি হয়ে থাকে, তবে সেগুলোও বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এসব ব্যাপারে উদাসীন বা নির্বিকার থাকে। আমরা আশা করি, অতি দ্রুত জামালপুর শহরে থাকা বংশ খাল পুনরুদ্ধার ও সংস্কার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।