এ নিয়ে বর্তমান কমিশনের সময় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক কমেছে ৪৫০ পয়েন্ট। সাবেক সরকারের আমলেও গত দুই বছরে শেয়ারবাজারে অব্যাহত পতন হয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা দেশের পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল এবং গতিশীল দেখতে চাইলেও বাস্তবতা হচ্ছে, আস্থার সংকট কোনোভাবেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। আস্থার সংকট অনেক বিনিয়োগকারীকে পুঁজিবাজার থেকে দূরে রেখেছে।
সেখানে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের একটি অংশকে প্রতিদিনের ব্যবসা করতে আসতে দেখা যায়। এই সুযোগ নিয়ে জুয়াড়িরা বাজারকে ব্যবহার করে মূলধন তুলে নিয়ে যায়, অন্যদিকে পথে বসেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে তাঁদের সর্বস্বান্ত করা হয়।
শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাজারকে স্থিতিশীল রেখে আস্থার সংকট কাটিয়ে ওঠা। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য, পুঁজিবাজারে কারসাজি ও অনিয়মের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।কারণ বাজারে একটি আস্থার বার্তা দিতে হবে।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান বলেছেন, একটি সমৃদ্ধ ও সফল শেয়ারবাজার গড়তে হলে শুধু বিএসইসি নয়, বরং শেয়ারবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়মমাফিক নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে।
শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারে সবাইকে অবদান রাখতে হবে। কিন্তু বাজারে এখনো নতুন বড় বিনিয়োগকারীদের সাপোর্ট তৈরি হয়নি। পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে হলে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। ভালো শেয়ার অন্তর্ভুক্ত করা তার মধ্যে একটি।
যেসব মাল্টিন্যাশনাল কম্পানি মার্কেটে আসেনি, তাদের আনতে হবে। পাশাপাশি দেশীয় ভালো কম্পানিগুলোকেও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসময় পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে আইসিবির যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। সরকারও প্রতিষ্ঠানটিকে অনেক সহায়তা দিয়েছে। পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আইসিবিকে ফান্ড সহায়তা দেওয়া হলে প্রতিষ্ঠানটি নতুন করে ভালো কোনো শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবে। আবার এর মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগও বাড়বে।
আমরা আশা করব, দেশের পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়বে। চাঙ্গা হবে বাজার।