English

20 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

প্রযুক্তি দক্ষতায় দৃষ্টি দিন: মাধ্যমিকে এগিয়ে বাংলাদেশ

- Advertisements -

বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবসের প্রাক্কালে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ, শিক্ষা কমিশন ও ওয়ার্ল্ড ডাটা ল্যাবের সমন্বয়ে গঠিত দ্য ওয়ার্ল্ড স্কিলস ক্লকের সাম্প্রতিক সময়ের এক সমীক্ষা আমাদের নতুন করে আশাবাদী করে তুলেছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ তরুণ-তরুণীর মাধ্যমিক পর্যায়ের দক্ষতা আছে। এ ধরনের দক্ষতায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে।

মাধ্যমিক শিক্ষা দক্ষতায় আমাদের তরুণ-যুবাদের এগিয়ে থাকার বিষয়টি আমাদের আশাবাদী করেছে।

কিন্তু শিক্ষার দক্ষতায় এগিয়ে থাকলেও ডিজিটাল দক্ষতায় পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা ভুটান, ভারত ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ তরুণ-তরুণীর ডিজিটাল দক্ষতা নেই। ডিজিটাল দক্ষতা পরিমাপ করতে তরুণ-তরুণীরা কম্পিউটারের কিছু প্রাথমিক কাজ, যেমন—ফাইল ও ফোল্ডার কপি ও মুভ করা, একটি ডকুমেন্টের মধ্যে কপি ও পেস্ট টুল ব্যবহার করা, অ্যাটাচমেন্টসহ ই-মেইল পাঠানো এবং একটি কম্পিউটার থেকে অন্যান্য ডিভাইসে ফাইল আদান-প্রদান করা জানে কি না, তা বিবেচনা করা হয়।
একুশ শতকে বাংলাদেশকে তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সুফল দেশের প্রত্যেক মানুষ পাচ্ছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থানসহ এমন কোনো খাত নেই যেখানে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে না। এটা সম্ভব হচ্ছে মূলত সারা দেশে একটি শক্তিশালী আইসিটি অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে, যা গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনে রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের তৃতীয় সভায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ রূপকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানা গেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্পের কর্মপরিকল্পনায় স্থান পাচ্ছে তারুণ্যের মেধা, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং উদ্ভাবনী জাতি গঠন। জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা, উদ্ভাবনী জাতি গঠন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমাজ বিনির্মাণ—এই তিনটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন সামনে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হচ্ছে।

সরকার যখন লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে অগ্রসরমাণ, তখন তরুণ-যুবাদের ডিজিটাল দক্ষতার নিম্নহার হতাশাজনক। এ অবস্থায় দেশের তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃত অর্থে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রযুক্তি দক্ষতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন