English

19 C
Dhaka
বুধবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
- Advertisement -

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন: হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার

- Advertisements -
নিতান্ত বাধ্য হয়েই মানুষকে হাসপাতালে যেতে হয়, কখনো নিজে অসুস্থ হয়ে, কখনো অসুস্থ স্বজনকে নিয়ে। কিন্তু সেসব হাসপাতালে, বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালে যেন দুর্ভোগের অন্ত নেই। গাদাগাদি ভিড়, মেঝেতেও রোগী, দালালদের টানাটানি এবং এজাতীয় অনেক কিছু ছাপিয়ে যে বিষয়টি অসহনীয় হয়ে ওঠে, তা হলো হাসপাতালের টয়লেট বা শৌচাগার। এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের মতো গতকাল রবিবার বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব শৌচাগার দিবস।
দিবসটিতে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের শৌচাগারজনিত দুরবস্থার কিছু দুর্ভাগ্যজনক চিত্র। ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের বেশি রোগী আসে। তাদের জন্য কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। জরুরি প্রয়োজনে রোগী ও স্বজনদের যেতে হয় বিভিন্ন ওয়ার্ডের টয়লেটে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিত্রও প্রায় একই রকম। দুটি টয়লেটের একটি সংরক্ষিত থাকে হাসপাতালের কর্মীদের জন্য; অন্যটি এত নোংরা যে দুর্গন্ধে কাছে যাওয়া যায় না।
তার পরও বিপদে পড়া মানুষ তাতেই যেতে বাধ্য হয়। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, এতে শুধু দুর্ভোগ নয়, এসব টয়লেট ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশই ক্ষতিকর নানা ধরনের জীবাণুর সংস্পর্শে আসে।
ফলে এক রোগ সারাতে এসে সঙ্গে নিয়ে যায় আরো অনেক রোগ।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, হাসপাতালে এসে সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত হন নারীরা। পুরুষের পক্ষে খোলা জায়গায় কিংবা রাস্তার পাশেও দাঁড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু নারীরা কী করবেন? তাঁদের প্রস্রাব চেপে রাখতে হয়। অনেকের পিরিয়ডকালীন প্রয়োজনীয়তা থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রস্রাব চেপে রাখায় মূত্রনালির সংক্রমণ, কিডনিতে পাথর সৃষ্টিসহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাভার থেকে সন্তানকে নিয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে আসা এক নারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সেই সকালে এখানে এসেছি।
এখন দুপুর। মেয়েমানুষের বাথরুমের দরকার হয় না? একটা বাথরুমও নেই। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে এক ঘণ্টার বেশি অপেক্ষার পর সিরিয়াল পেয়েছি।
ছেলের চিকিৎসা করাতে এসে এখন নিজেই অসুস্থ হওয়ার জোগাড়।’ অথচ হাসপাতালটির জরুরি ও বহির্বিভাগে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক রোগী ও তাদের স্বজন আসে।
হাসপাতালের পক্ষে জানানো হয়, মেরামত ও পুনর্নির্মাণের প্রয়োজনে এমন অবস্থা হয়েছে। প্রতিবেদক ঢাকার ১০টি হাসপাতাল ঘুরে কমবেশি একই রকম অবস্থা দেখতে পেয়েছেন।
হাসপাতালে নারী ও পুরুষের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক ও ব্যবহার উপযোগী শৌচাগার থাকা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে এবং স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে। আমরা আশা করি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

আজকের রাশিফল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন