English

21 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫
- Advertisement -

প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন: অপচয়ের প্রকল্প ও অর্থপাচার

- Advertisements -
বাংলাদেশের অগ্রগতিতে একটি প্রধান বাধা মুদ্রাপাচার। মুদ্রাপাচার রোধে অতীতে অনেক আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আর হয়নি বলেই ক্রমাগতভাবে বেড়েছে মুদ্রাপাচার। বিগত সরকারের বিরুদ্ধেই বিশাল অঙ্কের অর্থপাচারের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
তা ছাড়া বিগত সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বিশেষ করে বিশাল বিশাল অঙ্কের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে টাকা। রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হয়েছে।
উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা চলে গেছে সুবিধাভোগী একটি গোষ্ঠীর হাতে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের স্বার্থে প্রকল্প প্রণয়ন করে টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেন, এমন অভিযোগ অনেক পুরনো।
প্রকল্পের নামে এভাবে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে অনেক আগে থেকেই। জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের পকেট ভারী করতে ও দলের লোকদের কর্মসংস্থান করতে গিয়ে নানা প্রকল্প দেখিয়ে উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা লুটপাটে অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ অতীতে বারবারই শোনা গেছে।
বাস্তবে কোনো উন্নয়নকাজ হয়নি। ভুয়া উন্নয়ন প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তল্পিবাহকদের যুক্ত করা হয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে এভাবেই দলীয় নেতাকর্মী ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পকেট ভারী হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও কোথাও লাগেনি।

আবার গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে কোনো সরকারি প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শুরু হওয়ার নজিরও খুব কম। কোনো প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষও হয়নি। দফায় দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে, আর তাতে ব্যয়ও বেড়েছে।

গত সোমবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘অর্থনীতির পুনর্বিন্যাস বিষয়ে টাস্কফোর্সের সুপারিশ’ শীর্ষক সম্মেলনের প্রথম সেশনে বক্তারা বলেছেন, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ও অর্থপাচার দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। ব্যাংকিং সেক্টর ও নানা অবকাঠামো নির্মাণে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে।

আগের সরকারের সময় অর্থপাচার হওয়া নিয়ে গুরুতর অভিযোগ ওঠা এবং ব্যাপক আলোচনা হওয়া সত্ত্বেও এই অপরাধ বন্ধ করতে সেই সরকারকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে আমরা দেখিনি। গত দেড় দশকে লুটপাটের চরম পর্যায়ে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকার বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।

বিদেশে অর্থপাচার বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতির পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক। অর্থনীতিবিদদের মতে, মুদ্রাপাচার বন্ধ করা না গেলে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কখনো কাঙ্ক্ষিত গতি পাবে না। উন্নয়ন টেকসই হবে না।  আমাদের প্রত্যাশা প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার বিচার হবে। একই সঙ্গে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ খুব দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে হলে মুদ্রাপাচার রোধে কঠোর হতেই হবে। উন্নয়ন প্রকল্পে  লুটপাট বন্ধ করতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

আজকের রাশিফল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন