চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। হয়রানিমূলক মামলাসহ বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা মহলে আস্থাহীনতা, শঙ্কা, ভয় আর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে। থমকে আছে ব্যবসার প্রসার ও নতুন বিনিয়োগ। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ সক্ষমতা কমে যাওয়ার ঝুঁকির পাশাপাশি ব্যবসা প্রসারেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। ব্যবসায় শ্লথগতির কারণে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের ব্যবসা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। উল্টো অনেকের চাকরি খোয়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।
দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের ভূমিকা ৮২ থেকে ৯০ শতাংশ। অর্থনীতিতে ব্যবসার এই অবদান যেভাবেই হোক তা টিকিয়ে রাখতে হবে। এই সময়ে অর্থনীতির চাকা সচল থাকতে হবে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে অর্থনীতিতে অনেক বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আশঙ্কাজনক, সেটি হলো যদি বেশিসংখ্যক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়, তাহলে কর্মসংস্থানের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে।
দেশের অর্থনীতি নানা রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। ছোট-বড় সব ব্যবসার ক্ষেত্রেই নানা ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। শিল্প, ব্যবসা, বিনিয়োগ—সব কিছুই যেন তার স্বাভাবিক গতি হারিয়ে ফেলছে। দেশের অর্থনীতির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।