English

26 C
Dhaka
শনিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৪
- Advertisement -

প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করুন: ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার আধুনিকায়ন

- Advertisements -
জনকল্যাণে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়, কিন্তু সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের হাল দেখে অবাক হতে হয়। দেখা যায়, তিন বছরের প্রকল্পের কাজ ১৩ বছরেও শেষ হয় না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যাদের জন্য প্রকল্পসেই উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী। একই সঙ্গে খরচ বাড়ে এবং জনগণের অর্থের অপচয় হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনই এক প্রকল্পের বিবরণ উঠে এসেছে। তিন বছর মেয়াদের প্রকল্পটির কাজ ৯ বছরেও শেষ হয়নি।  পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ৪৬ শতাংশ। ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের আধুনিকায়নে ২০১৫ সালে গৃহীত প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২৭ কোটি টাকা।
কারাগারের কিছু ভবন নির্মিত হলেও হস্তান্তরিত না হওয়ায় চার বছর ধরে পড়ে আছে। এসব ভবনের বেশ কিছু দরজা-জানালা, গ্রিল ও গ্লাস চুরি হয়ে গেছে। কলাপসিবল গেটের লোহায় মরিচা পড়েছে, ভবনের আস্তর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তার নিয়মমাফিক ব্যবস্থা না রেখেই চলছে কাজ।
সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে এমন চিত্র।
প্রকল্প বাস্তবায়নের এই দুর্গতি নতুন নয়। বাস্তবায়নের ধীরগতি বা অহেতুক বিলম্বের জন্য প্রায়ই প্রকল্পের ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। ২০১৫ সালে প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে দিতে হতো বাজারমূল্যের দেড় গুণ। আইন পরিবর্তন হওয়ায় এখন দিতে হবে তিন গুণ।প্রয়োজনীয় উপাদানের দামও বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। শেষ পর্যন্ত এমন অনেক প্রকল্পই মাঝপথে ঝুলে থাকে বা বাতিল করতে হয়।
এসব কারণে অতীতে বিদেশি অর্থায়নের অনেক প্রকল্প থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে দেওয়া অর্থ ফেরতও নেওয়া হয়েছে।
আবার প্রকল্প বাতিল হওয়ায় উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি রাষ্ট্রের তথা জনগণের অর্থেরও অপচয় হয়। তার পরও আমাদের আমলা বা পিডিদের (প্রকল্প পরিচালকএকটি অংশ কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করার মেজাজে থাকে।

আইএমইডির নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়, ময়মনসিংহ কারাগারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবনগুলো বাইরে থেকে অনেকটা পরিত্যক্ত বাড়ির মতো দেখায়। সরেজমিন পরিদর্শনেও দেখা যায়, ময়মনসিংহ-মুক্তাগাছা সড়কের পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সাতটি ভবন নির্মিত হয়েছে। দুটি ভবনে কর্মকর্তা ও কারারক্ষীরা বসবাস শুরু করেছেন। দুটি ভবন, পরে আরো তিনটি ভবন। এগুলোর অবকাঠামো নির্মাণ শেষ। এসব ভবনে কোনো পাহারাদার চোখে পড়েনি। স্থানীয় লোকজন জানায়, ভবনগুলোতে বিদ্যুৎ নেই। সামনের খুঁটিগুলোতেও আলোর ব্যবস্থা নেই। সন্ধ্যার পর পুরো স্থান অনাকাঙ্ক্ষিত লোকজনের দখলে চলে যায়।

আমরা চাইদ্রুত সময়ের মধ্যে ভবনগুলোর সব কাজ সম্পন্ন করে সেগুলো কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হোক। পাশাপাশি সময়মতো কাজ শেষ ও হস্তান্তরিত না হওয়ার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন