সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে এমন চিত্র।
প্রকল্প বাস্তবায়নের এই দুর্গতি নতুন নয়। বাস্তবায়নের ধীরগতি বা অহেতুক বিলম্বের জন্য প্রায়ই প্রকল্পের ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। ২০১৫ সালে প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে দিতে হতো বাজারমূল্যের দেড় গুণ। আইন পরিবর্তন হওয়ায় এখন দিতে হবে তিন গুণ।প্রয়োজনীয় উপাদানের দামও বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। শেষ পর্যন্ত এমন অনেক প্রকল্পই মাঝপথে ঝুলে থাকে বা বাতিল করতে হয়।
এসব কারণে অতীতে বিদেশি অর্থায়নের অনেক প্রকল্প থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে দেওয়া অর্থ ফেরতও নেওয়া হয়েছে।
আবার প্রকল্প বাতিল হওয়ায় উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি রাষ্ট্রের তথা জনগণের অর্থেরও অপচয় হয়। তার পরও আমাদের আমলা বা পিডিদের (প্রকল্প পরিচালক) একটি অংশ কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করার মেজাজে থাকে।
আইএমইডির নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়, ময়মনসিংহ কারাগারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবনগুলো বাইরে থেকে অনেকটা পরিত্যক্ত বাড়ির মতো দেখায়। সরেজমিন পরিদর্শনেও দেখা যায়, ময়মনসিংহ-মুক্তাগাছা সড়কের পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সাতটি ভবন নির্মিত হয়েছে। দুটি ভবনে কর্মকর্তা ও কারারক্ষীরা বসবাস শুরু করেছেন। দুটি ভবন, পরে আরো তিনটি ভবন। এগুলোর অবকাঠামো নির্মাণ শেষ। এসব ভবনে কোনো পাহারাদার চোখে পড়েনি। স্থানীয় লোকজন জানায়, ভবনগুলোতে বিদ্যুৎ নেই। সামনের খুঁটিগুলোতেও আলোর ব্যবস্থা নেই। সন্ধ্যার পর পুরো স্থান অনাকাঙ্ক্ষিত লোকজনের দখলে চলে যায়।
আমরা চাই, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবনগুলোর সব কাজ সম্পন্ন করে সেগুলো কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হোক। পাশাপাশি সময়মতো কাজ শেষ ও হস্তান্তরিত না হওয়ার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।