এর কারণ পাচারকারীরা নির্ধারিত দামের (৮৫০ টাকা) প্রায় দ্বিগুণ দামে এসব বোতল কিনে নিয়ে যায়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরাখবর থেকে জানা যায়, শুধু ভোজ্যতেল নয়, পেট্রল-অকটেনসহ হাজার হাজার লিটার বিভিন্ন জ্বালানি তেলও পাচার করা হয়। পাচার করা হয় চাল, মসুর ডাল, চিনিসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য। ইউরিয়া সার, সিমেন্টসহ গৃহসজ্জার সরঞ্জামও পাচার হচ্ছে।
গত মাসে দুটি অভিযানে পুলিশ ৮০ বস্তা চিনি, ২০ বস্তা মসুর ডাল, ৩০ বস্তা চাল, এক হাজার ৩০০ লিটার তেলসহ অন্যান্য পণ্য উদ্ধার করে। গত সোমবার রাতে উখিয়ার থাইনখালী বাজার স্টেশনে পুলিশ ধাওয়া করে একটি পিকআপ ভ্যান আটকে এক হাজার ২০০ লিটার পাম অয়েল উদ্ধার করে। গত মাসে র্যাব দুটি অভিযানে সাত হাজার লিটারের বেশি জ্বালানি তেল উদ্ধার করে। জানা যায়, মোটরসাইকেলও পাচার হয়ে যাচ্ছে। এগুলোর ক্রেতা মূলত আরাকান আর্মির সদস্যরা।স্থানীয় লোকজন জানায়, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নাফ নদী সীমান্তের উলুবনিয়া পয়েন্ট দিয়ে গত দুই সপ্তাহে অর্ধশতাধিক মোটরবাইক ওপারে পাচার করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে এনেও মায়ানমারে পাচার করা হয়। একেকটি মোটরসাইকেল আড়াই থেকে তিন লাখ টাকায় অবৈধ পথে বিক্রি করা হয়।জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেলসহ অনেক পণ্য কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রায় বাংলাদেশকে আমদানি করতে হয়। এসব পণ্য এভাবে পাচার হওয়ায় জাতীয় স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর বিনিময়ে চোরাচালান হয়ে আসছে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ। এটি দেশের জন্য আরো অনেক বড় ক্ষতির কারণ। তাই যেকোনো মূল্যে চোরাচালান বন্ধ করতেই হবে।