English

25 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

পর্যাপ্ত লোকবল প্রয়োজন: উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুরবস্থা

- Advertisements -
গ্রামাঞ্চলের মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের পক্ষে রাজধানী কিংবা বড় শহরগুলোতে থাকা আধুনিক চিকিত্সাসেবার সুযোগ নেওয়া প্রায় অসম্ভব। অসুস্থতায় তাদের প্রধান ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর অবস্থা দিন দিনই যেন খারাপের দিকে যাচ্ছে। বড় বড় ভবন করা হয়েছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিত্সক নেই।
সেখানে অতি উচ্চ মূল্যের সেবা নেওয়ার সাধ্যও নেই এসব মানুষের। গতকাল কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, চিকিত্সক সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালটিতে চিকিত্সকের ২২টি পদ থাকলেও সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র পাঁচজন। অন্যান্য লোকবলও অনেক কম।
ফলে হাসপাতালটির স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম রীতিমতো থমকে গেছে।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩ মার্চ ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়, কিন্তু লোকবল বাড়ানো হয়নি। চিকিত্সক সংকটের পাশাপাশি অন্যান্য লোকবলেরও সংকট রয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী থাকার কথা ৭৭ জন, আছেন মাত্র ৩৫ জন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ২২ জনের বিপরীতে আছেন মাত্র ১০ জন।
অথচ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও বেনাপোল স্থলবন্দরের অন্তত চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবাপ্রাপ্তির প্রধান সুযোগ এই হাসপাতালটি। প্রতিদিন তিন শতাধিক রোগী চিকিত্সাসেবা নিতে আসে এ হাসপাতালে। আর ভর্তি হয় ৩৫ থেকে ৪০ জন। রোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালটি অপরিচ্ছন্ন থাকে, ওয়ার্ডে পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে, শৌচাগার অত্যন্ত নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত।

এ ছাড়া প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের দুটি অপারেশন থিয়েটার দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি প্রায়ই বিকল থাকে এবং প্রায়ই ফিল্ম থাকে না। প্যাথলজি বিভাগ থাকলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীদের পাঠানো হয় বাইরের ক্লিনিকে। বুধবার প্রকাশিত আরেকটি খবরে বলা হয়, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরও প্রায় একই রকম দুরবস্থা।

সারা দেশের প্রায় সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা প্রায় একই রকম। খারাপ অবস্থা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোরও। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ৫০ শয্যার হাসপাতালগুলো ক্রমান্বয়ে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। এটি সময়েরও দাবি।

কিন্তু তার আগে বিদ্যমান হাসপাতাল সেবাকে মানসম্মত করতে হবে। আমরা আশা করি, শার্শা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিত্সক ও লোকবল সংকট অবিলম্বে দূর করা হবে। পাশাপাশি এক্স-রে মেশিনসহ জরুরি রোগ নির্ণয় যন্ত্রপাতি ও লোকবলের ব্যবস্থা করতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন