পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর–পূর্বাঞ্চল বা বৃহত্তর সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া ক্রমেই চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠছে। এতে একসময় বৃষ্টিপাত প্রবল হবে। একসময় খরায় ফসলহানি হবে। বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের সংখ্যা ও তীব্রতা দুটিই বাড়বে। হচ্ছেও তা-ই। উজানের পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে প্রবল বৃষ্টিপাত হলে সেই পানি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়বে, এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। একে ঠেকানো যাবে না।
সমস্যা হচ্ছে, আগে নদীগুলোর গভীরতা ছিল। সেই পানির বড় অংশ নদী দিয়েই যেতে পারত। এখন নদীগুলো ভরাট হয়ে গেছে। নদী সেই পানি ধারণ করতে পারছে না। ফলে নদীর দুই কূলে থাকা জনপদ, ফসলের মাঠ প্লাবিত হচ্ছে। এতে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। নদী অববাহিকার মানুষের জীবনমানের অবনতি হচ্ছে। তাই বন্যা থেকে মানুষকে রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
বন্যার আশঙ্কা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরাও মনে করি, এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ঘাটতি রাখা যাবে না। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট মেটানোর পাশাপাশি বন্যাজনিত অসুখবিসুখ মোকাবেলায়ও পর্যাপ্ত উদ্যোগ নিতে হবে।