গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে থেমে থেমে চলছে শ্রমিক অসন্তোষ ও সড়ক অবরোধের ঘটনা। অন্যদিকে ইসলামবিদ্বেষী, ভারতীয় আগ্রাসন এবং পতিত স্বৈরাচার সরকারের দোসর আখ্যা দিয়ে দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধের দাবিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
কিছু স্থানে পত্রিকা পোড়ানোসহ বিলবোর্ড ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর কারওয়ান বাজারসংলগ্ন প্রথম আলো পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিক্ষোভকারীরা। আগের দিনও সেখানে একই রকম কর্মসূচি চলে। এ সময় প্রথম আলোর কার্যালয় ঘিরে নিরাপত্তায় ছিলেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হতেই পারে। কিন্তু তা নিয়ে এভাবে নিজেরা সংঘাতে জড়িয়ে যাওয়া মোটেও কাম্য নয়। এ ধরনের অসহিষ্ণুতা শিক্ষার ঘাটতিকেই প্রকাশ করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীগুলোর কর্মকাণ্ড আরো জোরদার করতে হবে। প্রতিটি ঘটনা শুরুতেই সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে, যাতে তা ক্ষয়ক্ষতি ও জনদুর্ভোগের কারণ না হয়। সংক্ষুব্ধ পক্ষগুলোকেও রাস্তা বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি থেকে বিরত থাকতে হবে।