English

18 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
- Advertisement -

পরিস্থিতির উন্নয়ন করুন: ভয়ংকর রূপ নিয়েছে ছিনতাই

- Advertisements -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি যেন কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত বাড়ছে চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানির ঘটনা। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীতে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। শুধু রাতের আঁধারে নয়, দিবালোকেও ছুরি-চাপাতি বা ধারালো অস্ত্র নিয়ে পথচারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে ছিনতাইকারীরা।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় পৃথক দুটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ডলার, ইউরোসহ প্রায় কোটি টাকা লুট হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলার সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে আগস্টে ১৫টি, সেপ্টেম্বরে ৩৩টি, অক্টোবরে ৪৭টি, নভেম্বরে ৩৯টি ও ডিসেম্বরে ৬০টি মামলা করা হয়েছে।

গত পাঁচ মাসে ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন। সাধারণত ছিনতাইয়ের বড় ঘটনা ঘটলে অর্থাৎ কেউ নিহত বা আহত হলে ছিনতাইকৃত টাকার অঙ্ক বেশি হলেই মানুষ সাধারণত মামলা করতে আসে। ছোটখাটো ঘটনা চেপে যায়। আবার হেনস্তার আশঙ্কায় অনেক ভুক্তভোগী থানায় যেতে চান না।
সেই অর্থে ছিনতাইয়ের ঘটনার প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। আবার ছিনতাইয়ের পাশাপাশি ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অপরাধও বাড়ছে। বাড়ছে পুলিশ বা যৌথ বাহিনীর ছদ্মবেশে ডাকাতির ঘটনাও। গত ১১ জানুয়ারি রাতে গুলশানে খাদ্যদ্রব্য আমদানিকারক জসিম উদ্দিনের বাসায় ১০-১২ জন লোক তিনটি গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করে এবং নিজেদের যৌথ বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়। তারা ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে।

এক পর্যায়ে ডাকাতরা জসিমের কয়েকটি ফ্ল্যাট তল্লাশি করে ১১২ ভরি সোনাসহ প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকার মালপত্র নিয়ে যায়।

গত ৫ আগস্টের অব্যবহিত আগে ও পরে সারা দেশে থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে ব্যাপক হামলা ও লুটপাট হয়। অনেক পুলিশ সদস্য হতাহত হন। এ সময় পাঁচ হাজার ৭৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছয় লাখ ৫১ হাজার ৬০৯ রাউন্ড গুলি লুট হয়। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদের একটি বড় অংশ এখনো উদ্ধার করা যায়নি। ধারণা করা হয়, এগুলো অপরাধীদের হাতে চলে গেছে। অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করেন, এর পর থেকে পুলিশি কার্যক্রম অনেকটাই শিথিল হয়ে পড়ে। এই সুযোগে ছিনতাইকারীরা ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক কার্যক্রমকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় সাধারণ অপরাধ; যেমন—চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্রমেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। আমরা মনে করি, ডাকাতি-ছিনতাই নিয়ন্ত্রণসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন