আর এ জন্য তাঁদের অজুহাতেরও কোনো অভাব হয় না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে অতিরিক্ত বৃষ্টি—কিছুই বাদ যায় না অজুহাতের তালিকা থেকে। আর এটি নতুন কিছু নয়।
এর মধ্যে কিভাবে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সেই চেষ্টা করবে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও সংস্থাগুলো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা নজিরবিহীন। মৌসুমে যখন আলু ওঠে তখন কৃষকরা উপযুক্ত দাম পান না।
কখনো কখনো আলুর কেজি ১০ টাকার নিচে নেমে যায়। এরপর সেগুলো চলে যায় মজুদকারী বা মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে। মৌসুম শেষের লাভটা তাঁরাই নেন। সরকারকে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চিন্তা করতে হবে। দুই সপ্তাহ আগে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও বাজারে আমদানি করা ডিম আসেনি। ফলে বাজারে ডিমের সরবরাহ কম থাকার ফায়দা নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
বাজারে সরকারের হস্তক্ষেপ বাড়াতে হবে। দাম নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পিত ও স্থায়ী সমাধানের কথা ভাবতে হবে। সেসব না করে সংকটের সময় মানুষকে দেখানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়ে কোনো লাভ হবে না।