প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, আমদানি শুল্ক কমানো পণ্যগুলোর মধ্যে একমাত্র ডিম ছাড়া বাকি পাঁচটি পণ্যের দামই বরং আরো বেড়েছে এবং ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, উপযুক্ত নজরদারির অভাবে শুল্কছাড়ের সুবিধাও যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের পকেটে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গত বৃহস্পতিবারের বাজারদরের সঙ্গে এক মাস আগের বাজারদর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আমদানিতে শুল্ককর ছাড় পাওয়া ছয়টি পণ্যের মধ্যে পাঁচটিরই দাম বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ খুচরায় ১১০ থেকে ১৩০ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ৮০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টিসিবির এক মাস আগের বাজারদরে দেশি পেঁয়াজ ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সরকার গত ৮ ও ১৭ অক্টোবর দুই দফায় চিনির আমদানি শুল্ক কমায়। টিসিবির তথ্য বলছে, এক মাস আগের তুলনায় খোলা চিনি কেজিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ছয় থেকে ১১ টাকা বেড়েছে এক মাসে। তবে বোতলজাত তেলের দাম বাড়েনি। এক মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি আলুর দাম পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, শুল্কছাড়ের ঘোষণা সত্ত্বেও মাঝারি মানের চালের দাম কেজিপ্রতি দুই টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শুল্ক ছাড় দেওয়া পণ্যের মধ্যে কেবল ডিমের দাম কিছুটা কমেছে।ভোক্তার স্বার্থ দেখার জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে। তাদের আরো গতিশীল হতে হবে, কর্মকাণ্ড আরো বাড়াতে হবে। শুল্কছাড়ের সুবিধা কোথায় যাচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। নানা ধরনের সিন্ডিকেটবাজি ও অদৃশ্য কারসাজি বন্ধ করতে হবে।